ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ার হাট-বাজারে নিষিদ্ধ পিরানহা

এইচ এম রিয়াজ, পেকুয়া।
পেকুয়া উপজেলার হাট-বাজারে নিষিদ্ধ রাক্ষুসে মাছ ‘পিরানহা’ অবাধে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার মাছ ব্যবসায়ীরা অল্প টাকায় বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মাছের আড়ত থেকে ক্রয় করে এনে বিভিন্ন হাট-বাজারে এ মাছ বিক্রি করছেন। অন্য মাছের তুলনায় এ মাছের উৎপাদন বেশি এবং দামও অত্যন্ত কম হওয়ায় মাছ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্রেতারাও অধিক হারে এই মাছ ক্রয়ে উৎসাহী হয়ে পড়েছে।
এছাড়া মৎস্য চাষিরা এই মাছের চাহিদা থাকায় মৎস্য বিভাগের অজ্ঞাতসারেই পিরানহা মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে পড়ছে। এই মাছকে রুপচাঁদা মাছ হিসেবে বিক্রয় ও চাষ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিকর এই রাক্ষুসে মাছ আমদানি, বাজারজাত ও বিক্রি বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কিন্তু তা সত্তেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসব মাছ বিক্রি করছে প্রকাশ্যে। বেশি লাভের আশায় তারা ওই মাছকে রূপচাঁদা মাছ বলে বিক্রি করছে। এতে বোকা বনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারন লোকজন। এই নিষিদ্ধ মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও নজরদারী নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় সচেতন লোকজনের।
রবিবার (২ মার্চ) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার টইটং ধনিয়াকাটা বটতলা বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে এ ভয়ংকর মাছ এমন অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দা ফাঁসিয়াখালী ফাযিল মাদ্রসার শিক্ষক আবছার উদ্দিন জানান, আমি নিজেই দেখতে পেলাম এ মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে এবং অধিকাংশ মানুষ চিনতে না পারায় রুপচাঁদা মনে করে ক্রয় করছে।
খবর নিয়ে জানাযায়, শুধু ধনিয়াকাটা বাজার নয়, পেকুয়ার অনেক হাটে-বাজারে এখন রুপচাঁদা নামে বিক্রি হচ্ছে এ মাছ।
উল্লেখ্য, পিরানহা মাছ অত্যন্ত রাক্ষুসে স্বভাবের হওয়ায় দেশীয় প্রজাতির জীববৈচিত্র্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রাক্ষুসে ছাড়াও মানুষ খেকো হওয়ায় ২০০৭ সালে এ মাছ সংরক্ষণ, বিপনন, প্রজনন ও প্রদর্শণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পিরানহা নামের মাছটি মূলত আমাজন নদীর একটি ভয়ঙ্কর মাছ। মানুষখেকো হিসেবেও অনেকে এই মাছটিকে চেনে। পিরানহা ভয়ংকর এবং দল বেধে চলে। পিরানহা মাছ তাদের খোরদার দাঁত দিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটে মানুষের হাড় থেকে মাংস আলেদা করে ফেলে। আমাদের দেশে অনেকের শৌখিন অ্যাকুরিয়ামে এ মাছটির দেখা মেলে। থাইল্যান্ডের কোনো না কোনো সূত্র থেকে আমাদের দেশের কোনো চাষী প্রথমে এই মাছটি নিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: