ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুরে মাইলের পর মাইল ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন

মিজবাউল হক, চকরিয়া :
বাঁশের খুটিতে তার দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ লাইন এলাকাবাসীর মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে মাইলের পর মাইল কাঁচা গাছ ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে লাইন নির্মাণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। এতে মূল্যবান ট্রান্সফরমারসহ বিদ্যুৎ সরবরাহের তার ওভারলোড হয়ে পুড়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।
এলাকাবাসী জানান, লামা উপজেলা বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বির্স্তীণ এলাকায় সড়কের পাশ দিয়ে বাশের খুটিতে খোলা তার দিয়ে শতশত সংযোগ দেয়া হয়েছে। ১০-১২টি সেচ পাম্প ও বাসা বাড়িতে বাশের খুটিতে খোলা তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এই ঝুকিপূর্ণ সংযোগে দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি। গতবছর ওই তারে জড়িয়ে একব্যক্তি মারা গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বিদ্যূৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, লামা বিদ্যুত বিভাগ থেকে চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে প্রায় এক হাজার গ্রাহককে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিদ্যুত সংযোগ দিলেও বছরের পর বছর বিদ্যুত বিভাগ খুটি ও তার মেরামত করেনি। ঝুকির মধ্যে বিদ্যুত সঞ্চালন করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা গ্রাহকরা হাই ভোল্টেজের বিদ্যুত পাচ্ছে না। নানা সমস্যার কারণে বিদ্যুত লো-ভোল্টেজ হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সময়ে মেরামত না করলে বড় ধরণের ঝুকির মধ্যে পড়বে স্থানীয় এলাকাবাসি।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, তার ইউনিয়নে গাছ-বাশের সাহায্যে টানানো লাইন এতই ঝুকিপূর্ন যে হাত বাড়ালেই ধরা যাবে। তার গুলো খুবই পুরনো হওয়ায় প্রায়ই তার ছিড়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে।
কয়েকজন কৃষক জানান, গাঁছ ও বাশের খুটি দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন টেনে সরবরাহ করা হয়েছে। লামা বিদ্যুৎ বিভাগে বার বার অভিযোগ করা হলেও অজ্ঞাত কারনে ঝুঁকিপূর্ন এ লাইন গুলো সড়ানো হচ্ছে না। কোথাও গাছ আবার কোথাও বাশের খুঁটির সাহায্যে বিদু্যুৎ লাইন টানা হয়েছে। এ লাইনের তার প্রায়ই ছিড়ে রাস্তায় পড়লেও দূর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক বছর পূর্বে লামা বিদ্যুৎ বিভাগ গাছ ও বাশের খুঁটি দিয়ে খোলা তার দিয়ে লাইন টানানো হয়েছে। লাইনটি এতই ঝুকিপূর্ন যে তা দেখে সাধারণ পথচারীও আতকে উঠে।
এব্যাপারে লামা বিদ্যুত বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চকরিয়া উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলম আলো বলেন, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বিদ্যুত লামা থেকে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পাহাড় পর্বত বির্স্তীণ এলাকা পার হয়ে এই ইউনিয়নে বিদ্যুত সংযোগ দিয়েছিলো। দ্রুত মেরামত না করলে ঝুকির মধ্যে স্থানীয় এলাকাবসি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌছে দেওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের আন্তরিকতার কারণে দেশে বিদ্যুত উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই ইউনিয়নে বর্তমানে এক হাজার গ্রাহক রয়েছে। কিন্তু গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও জড়িলতার কারণে দেওয়া যাচ্ছে না।

পাঠকের মতামত: