ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার মহা-উৎসব, তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বহুতল ভবণ

এম.আলী হোসেন, চকরিয়া ঃpahar-kata-city-640x400
চকরিয়ায় বন বিভাগের জমি দখল করে পাহাড় কাটার মহা উৎসব চলছে। এসব এলাকায় তৈরী হচ্ছে প্রতিদিন নতুন নতুন ঘরবাড়ি। সংশ্লিষ্ট বন বিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাহাড় কাটা আর নতুন নতুন ঘর তৈরীতে বাঁধাদানের পরিবর্তে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন পহরচা›ঁদা বনবিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আতাঁত করে বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁন্দা সবুজ পাড়া এলাকায় আবুল আহমদের পুত্র আবদুল হোসেন (প্রকাশ টিউবয়েল মেস্ত্রী), নতুন করে বাড়ি তৈরী করতে পাহাড় কাটা অব্যহত রেখেছে। এর আগেও বহুতল ভবন নির্মাণের কার্যক্রমের একতলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি তৈরী করে।
স্থানীয় বদিউল আলম অভিযোগ করেছে, আবুল আহমদ সরকারী বন ভূমি দখল করে মাটি বিক্রি, জায়গা দখল করে বিক্রি ও নতুন নতুন ঘর তৈরীর করে ব্যবসা করছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েল করলেও কোন কাজে আসেনি। সামনে বর্ষার শুরু করে পাহাড় কাটা স্থানে উচু পাহাড় ভেঙ্গে নিচের বসত বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছ।

সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্ব অবহেলায় বনের গাছ ও পাহাড় নিদন অব্যহত রয়েছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে দক্ষিণ চট্টগ্রাম বন বিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন পঁহরচাদা বনবিট এলাকা সবুজ পাড়ায় পাহাড় কাটার মহা উৎসব চলছে। গতকাল ২৬শে মার্চ বিকাল ৪ টার দিকে চকরিয়া বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাদা সবুজ পাড়া এলাকায় আবুল আহমদের পুত্র আবদুল হোসেন (প্রকাশ টিউবয়েল মেস্ত্রী), পূর্বে বন বিভাগের জমি দখল করে পাহাড় কেটে বহুতল ভবণ নির্মাণ কার্যক্রমে একতলা বিশিষ্ট বাড়ি করেছেন। ওই বাড়ীর পার্শ্বে শতাধিক ফুট উচু একটি পাহাড় রয়েছে। ওই পাহাড় নতুন করে কেটে অন্যত্রে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে পহরচাঁদা বনবিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুূল ইসলাম থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিটে তিনি সবে মাত্র যোগদান করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পাহাড় কাটার স্থানে তিনি ও কর্মচারীরা  সরজমিনে তদন্ত করেছেন। পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান পূর্বের বনবিট কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতায় বনের গাছ, পাহাড়ী জমি, জবর-দখল করে একাধিক বসতি  নির্মাণ হয়েছে। এলাকার লোকজন একটু সচেতন হলে এভাবে বন উজাড় ও বনের জমিগুলো জবর দখল হত না। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট বনবিট এলাকায় পুরাতন কোন গাছ নেই। নতুনভাবে সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে। পাহাড় কাটা ও জবর দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ মুলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: