ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ট্রাক ভর্তি গর্জন রাতেই ছেড়ে দিলেন বনকর্তারা

kat..চকরিয়া অফিস ::
চকরিয়ায় বনকর্মি কর্তৃক ধাওয়া করে আটক করা ট্রাক ভর্তি মাদার ট্রী গর্জন গাছের টুকরা রাতের আধাঁরে ছেড়ে দিয়েছেন বনবিট কর্তারা।ফলে রাতের আঁধারেই অর্জিত সাফল্য বিক্রীর অভিযোগ উঠেছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ ফাসিয়াখালী বনরেঞ্জের পশ্চিম পার্শ্বে দৃশ্যমান স্থানে বনকর্তার গাড়ী চালক ইয়াছিন মুন্সির কন্যার জামাতা নুর মোহাম্মদ এর বাড়ী। তার সামনেই নুর অামিনের উঠান থেকে ২৩মার্চ দিবাগত রাত ২টায় একদল বনদস্যু কর্তৃক ২টি মাদার ট্রী গর্জন গাছ কাটা হলে পরপর বিকট শব্দে জেগে উঠে পড়শী লোকজন। লোকজনের সামনেই একটি মিনি ট্রাকে ৫/৬ টুকরা গাছ উঠায় বনদস্যুরা। খবর পেয়ে বনবিট কর্মকর্তা শিব্বির এর নেতৃত্বে ট্রাককে ধাওয়া করে ১কিলোমিটার পশ্চিমে উলুবুনিয়া নিয়ে আটক করে পরে চোরের সাথে কথাবার্তা বলে চলে আসেন বনকর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে রেঞ্জকর্মকর্তা আব্দুল মতিন গাছ আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রাতে গাছগুলো আটক করা হয়েছিল। আটকের পরপরই চকরিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব একাধিক বার ফোন করেন গাছ ছেড়ে দিতে। বাধ্য হয়ে রাতে গাছ সহ গাড়ী স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি জামাল হোছনের জিম্মায় তার বাড়ীর সামনে রেখে আসি। সকালে গিয়ে দেখি গাড়ীটি আছে কিন্তু গাছ নাই। পরে সন্ধ্যায় গাড়ীটি নিয়ে আসা হয়েছে রেঞ্জ অফিসে। তিনি আরো বলেন, বেশ কিছু টুকরা আমরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছি।
এলাকাবাসী বলেন, গাছ কাটা হচ্ছে অথবা হবে এসব আগে থেকেই রেঞ্জার বিট অফিসার জানেন। কিন্তু জনগনের কথা ও চোখকে ফাঁকি দিতে তারা ধাওয়া করার মত নাটক করে নদী পথের কাছে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন রেঞ্জ ও বন কর্মকর্তারা।  খবর পেয়ে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগীয় কর্মকর্তা কেরামত আলী মল্লিক চকরিয়া এসে খবরা খবর নিয়েছেন। তিনি ঘটনার সত্যতা জেনে রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মতিনকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সাথে সাথে অভিযোগ উঠেছে,রাতের আঁধারে বনকর্মিরা এভাবেই অর্জিত সাফল্য।

পাঠকের মতামত: