ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জেলা কৃষি তথ্য সার্ভিসে কর্মকর্তা আছে, কার্যক্রম নেই

kryসৈয়দুল কাদের :
প্রচারণার মাধ্যমে কৃষককে সচেতন করার জন্য সরকারের কয়েকটি বৃহৎ কার্যক্রমের মধ্যে কৃষি তথ্য সার্ভিস অন্যতম হলেও কক্সবাজারে নেই কোন তৎপরতা। একজন কর্মকর্তা এ কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকলেও তার খোঁজ পাওয়া যায় না সারা বছর। যার ফলে কৃষি বিভাগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার সুযোগ থাকে না কৃষকদের।
কর্মকর্তা আছে কোন কাজ নেই জেলা কৃষি তথ্য সার্ভিসের। প্রচারের এই গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন বলে দাবী একজন কর্মকর্তার। এই অফিসে একাধীক পদ থাকলেও একজন লিয়াজো কর্মকর্তা ছাড়া আর কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নেই। তিনি যেমন একজন তাই কাজও নেই। তবে তিনি দাবী করেছেন প্রচারের দায়িত্বটি তিনি যথাযথ পালন করছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, কৃষকরা যাতে প্রতারিত না হয় এবং কৃষি বিভাগের গৃহীত পদক্ষেপগুলো কৃষকদের মাঝে সহজে কৃষি বার্তার মাধ্যমে পৌঁছাতে সরকার কৃষি তথ্য সার্ভিস চালু করে। এটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হলেও কোন কার্যক্রম নেই।
কক্সবাজার সদরে কর্মরত একজন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা জানান, নাম সর্বস্ব চলছে কক্সবাজার কৃষি তথ্য সার্ভিস। কৃষক বার্তা নাম দিয়ে মাঝে মধ্যে একটি বার্তা ছাপিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় প্রেরণ করেন ওই কর্মকর্তা। যাদের কাছে পৌছানো হয় তাদের কাছেই রয়ে যায় ওই বার্তাগুলি। মুলতঃ প্রচারণা মুলক কিছু নেই বললেই চলে। যার ফলে কৃষকরা সরকারের বহু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া সচেতনতার অভাবে নি¤œমানের বীজ ক্রয় থেকে শুরু নানা ভাবে প্রতারিত হচ্ছে। জেলা তথ্য সার্ভিস পুরোদমে কার্যক্রম চালালে কৃষকরা আরো সচেতন হত। কৃষি উন্নয়নে আরো গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখতে পারত।
কক্সবাজারের ভারুয়াখালীর কৃষক মোঃ করিম দাদ জানিয়েছেন, কৃষি অফিসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে আমাদের। কিন্তু কোন সময় কৃষি বার্তা নামের কিছুর নাম শুনিনি। এ ছাড়া জেলায় একটি কৃষি তথ্য সার্ভিস আছে এমন কথা জানা নেই। নিজেদের অভিজ্ঞতা নিয়েই কাজ করছি। অনেক সময় ভুল হয়ে যাওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। কৃষি বিভাগের কোন লোকজন কোন সময় আমাদের পরামর্শ দেননি। কোন প্রয়োজন হলে উপজেলা কার্যালয়ে গিয়ে জেনে নিয়ে আসি।
জেলা কৃষি তথ্য সার্ভিসের লিয়াজো কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, প্রচারণার দায়িত্বটি যথাযত ভাবে পালন করা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে কক্সবাজার বেতারের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয় কৃষকদের সচেতন করতে। এ ছাড়া সপ্তাহিক, মাসিক কৃষি বার্তা ছাপিয়ে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের বিতরণ করা হয়।

পাঠকের মতামত: