ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বর্ষা মৌসুমের আগে মহেশখালের বাঁধ অপসারণ করার দাবি

মহেশখালী প্রতিনিধি ::mk

বন্দর এলাকার একমাত্র প্রাকৃতিক স্রোতস্বিনী ও অর্থকরী খাল হিসেবে বিবেচিত মহেশখালকে হত্যাকারী মরণ বাঁধ অপসারণের দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪ টায় স্থানীয় পুরাতন পোর্ট মার্কেট সংলগ্ন চত্ত্বরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেন, মহেশখালের মত একটা জোয়ার ভাটার প্রবাহিত খালকে ইট, কংক্রিট দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ শুধু একটা খালকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে খাল সংলগ্ন জনপদের পরিবেশ এবং খাল সন্নিহিত ৪ ওয়ার্ডের প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের জীবন ধারাকে।

এই মহেশখালের বাঁধের কারণে বর্ষা ও অমাবস্যা পূর্ণিমাতে নগরীর ২৭, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮নং ওয়ার্ডে বিস্তীর্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় থেমে যায় মানুষের স্বাভাবিক জীবন ধারা। মহেশখাল বাঁধের কারণে বাঁধের আশেপাশের পুঁতি দুর্গন্ধ যা বাতাস ভারী করে তুলছে। বদ্ধ পানিতে মশা মাছির বংশ বিস্তার করে পুরো নগরীতে ভয়াবহ মশার আক্রমণে শিকার হচ্ছে নগরবাসী। পানি প্রবাহের খালকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে পরিবেশ ধ্বংস করে ১৫ লক্ষাধিক মানুষের স্বাভাবিক জীবন ধারাকে হুমকির মধ্যে ঠেলে দিয়ে বন্দরের অর্জন কি সেটাই আজ সকল বিবেকবান মানুষের জানার বিষয়।

যদি মহেশখালে বাঁধ দিয়ে বন্দরের কোন আর্থিক বা অবকাঠামোগত লাভ না হয়ে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ যাদের বাপ দাদার ভিটে মাটিতে বন্দর স্থাপনা গড়ে উঠেছে তাদের উপর অন্যায় জুলুম করে লাভ কি? তিনি বলেন, যদি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে বাঁধ অপসারণ করা না হয় তবে বাঁধের কারণে এলাকার মানুষ জনদুর্ভোগে পড়ে গতবারের ন্যায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেয় তার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে। প্রবাহিত মহেশখালের উপর বাঁধ নির্মাণকে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

৩৭ ও ৩৮নং ওয়ার্ড সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের আহবায়ক হাজী হোসেন কোম্পানীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী হাবিব শরীফের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আ’লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ কোম্পানী, বন্দর থানা আ’লীগের সভাপতি নূরুল আলম, সহ-সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক হাজী মো. ইলিয়াছ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুল ইসলাম, ৩৮নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. হাসান, ৩৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মান্নান, শওকত হোসাইন, মাহবুবুল হক সুমন, হাজী নজির আহমদ সওদাগর, আব্দুল হাকিম সওদাগর, এস এম আবু তাহের, মো. কামাল উদ্দিন মেম্বার, মো. এজাহারুল হক, মো. জানে আলম, মো. মোরশেদ আলম, আব্দুল আজিম, শামসুল আলম, মো. জসিম উদ্দিন, আবদুস সালাম মাসুম, এনামুল হক মিলন, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, মোর্শেদ আলী, আবু ছালেহ জুয়েল, মো. শাহজাহান, সৈয়দ মুনির, নজরুল ইসলাম টিটু, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, এমদাদুল হাসান, নুরুল কবির, সেলিম মাহমুদ, এস এম ফারুক, মো. সালাউদ্দিন, লিটন মহাজন, সাইফুল ইসলাম, জাইদুল আলম দূর্লভ, স্বরূপ দত্ত রাজু, মো. ওয়াসিম, মো. আলমগীর, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, আশিকুন্নবী চৌধুরী, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, বিকাশ দাশ, রুমেল বড়ুয়া রাহুল, নোমান চৌধুরী, দীপংকর সৌম্য শান্ত, শাহাদাত হোসেন বুলু, জিয়াউল হক জিয়া, মিজানুর রহমান জনি, মনিরুল হক মুন্না, তানভীর বিন হাসান, শফিউল আলম বাদশা, মো. নোমান, মো. গিয়াস, রতন বড়ুয়া, সুমন দে বাবু, সবুজ দে রতন, মো. জাহিদ, হাসান হাবিব সেতু, লুৎফুল কবির সোহাগ, মো. কাইয়ুম, সাদ্দাম হোসেন, মো. সায়েম, সাকিব চৌধুরী, বিজন দে, মো. আনোয়ার, মো. নাভিদ, মো.আলভী, স্বদেশ দাশ, কায়সার হামিদ, মো.সুমন প্রমুখ। সভা শেষে মহেশখাল বাঁধ সৃষ্ট দুর্গন্ধ ও মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীদেরকে সুগন্ধি আগরবাতি ও মশার কয়েল বিতরণ করেন খোরশেদ আলম সুজন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পাঠকের মতামত: