ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁওতে পুরাতন পাইপ বাজার গলি বন্ধ: বাড়ছে যানজট ও দূর্ভোগ

mail.google.comসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর পুরনো পাইপ বাজারের দুটি গলি যান চলাচলে উম্মুক্ত করা হলে কমবে প্রধান সড়ক ডিসি রোডের অসহনীয় যানজট। গলি দুটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাজারবাসীকে।

সরেজমিন পরিদর্শন ও সংশিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদগাঁও বাজারের পাইপ বাজারটি ছিল সুপ্রাচীন ও অতি পরিচিত একটি বাজার। এ বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন ছাড়াও প্রায় সময় কাঁচা ও শুটকী মাছ বিক্রয় করা হতো। বৃহত্তর ঈদগাঁওর প্রত্যন্ত এলাকার লোকজন এ বাজারে এসে সওদাপাতি করতেন। বর্তমানে যেভাবে প্রত্যন্ত এলাকায় ছোটখাট হাটবাজার গড়ে উঠেছে কয়েক যুগ আগে কিন্তু সে রকম ছিলনা। কাঁচা মাছের জন্য দূর-দূরান্তের লোকজন সাপ্তাহিক হাটের দিন তথা শনি ও মঙ্গলবারের জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, পাইপ বাজার কেন্দ্রিক উত্তর-দক্ষিণ সোজাসুজি দু’টি বিরাট গলি ছিল। বর্তমানে যে স্থানে গ্রুথসেন্টার তথা এলজিইডি’র মার্কেট স্থাপিত হয়েছে সেখানে এক সময় টিনশেডে বিভিন্ন ধরণের পণ্য বেচাকেনা হত। ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সেখানে জাপানী অর্থায়নে উক্ত গ্রুথসেন্টার নির্মাণ করে। যাতে প্রায় ৮৪ লাখ টাকার উপরে ব্যয় করা হয়। শুরুতে ঐ মার্কেটটি মহিলা মার্কেট নাম দেয়া হলেও বাস্তবে কোন ভাড়াটিয়াই মহিলা নহেন।

এ গ্রুথসেন্টারের সম্মুখস্থ বিশালাকার গলি দিয়ে এখন লোকজন চলাচল করতে পারলেও মোটর সাইকেল ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই। উত্তর দিক থেকে গাড়ী ঢুকার ব্যবস্থা থাকলেও দক্ষিণ দিকে গলির উপর দু’তলার সিড়ি নির্মাণ করায় গাড়ী বের করা যায়না। আবার একেবারে দক্ষিণ পাশের্^ ফল ফ্রুটের যে দোকানটি রয়েছে তা বলতে গেলে ৫ থেকে ৬ হাত ঐ গলির জায়গার উপর। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পয়ঃনিষ্কাশনের একমাত্র পথ হচ্ছে এ গলি। গলির উপর রয়েছে বড় বড় ¯্যাব। স্থানীয় কাঠ বাজারের ব্যবসায়ীরা উক্ত গলি দিয়ে ভ্যান গাড়ীতে গাছ বোঝাই করায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ¯্যাবগুলো। অন্যদিকে পূর্ব পাশের্^ একই ধরণের যে গলিটি রয়েছে তাও একাধিক দোকানদার কর্তৃক দখল হয়ে গেছে। এ গলি দিয়ে যান চলাচল তো দূরের কথা, লোকজনের চলাফেরারও সুযোগ নেই। পাশর্^বর্তী দোকানদাররা গলির বিশাল অংশে মালামাল মজুত রাখে। গলিটির অবস্থা দেখলে মনে হয় না যে, তা একসময় জন চলাচলের বিরাট গলি ছিল। স্থানীয় আলহেরা আবাসিক হোটেলের মালিক মাওলানা আহমদ উলাহ জানান, জনস্বার্থে এ দু’টি গলি লোক ও যান চলাচলের জন্য অবমুক্ত করা প্রয়োজন। গলি দুটি দখলমুক্ত হলে যান চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তখন বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রোডে যানজটের আধিক্য কমবে। ফলে অসহনীয় যানজট থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে বাজারবাসী।

স্থানীয় হেনা ফার্মেসীর মালিক নুরুল হুদা ফরাজীর সাথে কথা হলে তিনি উক্ত জায়গায় অতীতে দু’টি গলি ছিল স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে এ গলি দুটি জনস্বার্থের পরিবর্তে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাজারে আগত শত শত লোকজনের সুবিধার্থে এ গলি দুটিকে পুরনো রূপে ফিরিয়ে আনলে বাজারের লোকজন আরো স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন। আরো দেখা গেছে, পাইপ বাজারে এখন গড়ে উঠেছে বিরাট কাঠের বাজার। এখানে শত শত কাঠ বেচাবিক্রি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ ঐটা কাঠ বাজারের নির্ধারিত স্থান নয়। তবু ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেন গাছের ব্যবসা।

পাঠকের মতামত: