ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘোষণার ১১ বছর পর পুরোদমে ৫০ শয্যা চালু

মহেশখালী প্রতিনিধি :::coxs-bazar-pic-28-01-2016

ঘোষণার ১১ বছর পর মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা পুরোদমে চালু হয়েছে। এত দিন ছিল ৩১ শয্যার চিকিৎসাসেবা। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে হাসপাতালের বর্ধিত ভবনে ১৯ শয্যার শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, হাসপাতাল ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা দেওয়া হয় ২০০৬ সালের ১ জুন। এক বছর পর ১৯ শয্যার জন্য চার কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয় তিনতলা ভবন। ভবনের নিচ ও দ্বিতীয় তলায় হাসপাতালের অন্যান্য কার্যক্রম চালু হয়। কিন্তু জনবল না থাকায় তৃতীয় তলায় ওয়ার্ডের কার্যক্রম চালু হয়নি।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের মূল ভবনের পাশে নির্মিত সম্প্রসারিত ভবনের তৃতীয় তলায় শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি আছে ১০ জন। বেশির ভাগ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। ওয়ার্ডে সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক ইশতিয়াক খালেদ।
তিনি বলেন, ‘এত দিন শিশুদের জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ড ছিল না। এ কারণে শিশুদের সেবা দিতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। এখন দিনে ১০ থেকে ১৫টি শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজুল হক বলেন, সেবিকা সংকটের কারণে ১১ বছর ধরে সম্প্রসারিত ১৯ শয্যা চালু করা সম্ভব হয়নি। গত মাসে নয়জন সেবিকা নিয়োগ দেওয়ায় নতুন শিশু ওয়ার্ড চালু করা সম্ভব হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট এখনো কাটেনি। ২৮ জন চিকিৎসকের স্থলে আছেন পাঁচজন। গত মাসে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুজন চিকিৎসক বদলি হয়ে যান। চলতি মাসে বদলি হন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। তাঁদের স্থলে দুজন চিকিৎসক নিয়োগ দিলেও তাঁরা এখনো যোগ দেননি। পাঁচজন চিকিৎসক দিয়ে ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: