ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় বির্তকিত ওসি-চেয়ারম্যানকে পুলিশ সুপারের তলব

পেকুয়া প্রতিনিধি :::pek

পেকুয়ায় থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়াকে তলব করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) ড.এ.কে ইকবাল হোসেন। পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপির) নির্দেশে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার পেকুয়া থানার ওসি মোস্তাফিজ ভুঁইয়াকে তলব করেছেন। একই সাথে বিএনপি থেকে নির্বাচিত মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমকেও একই কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে হাজির থাকার জন্য বলা হয়েছে। মগনামা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের জৈষ্ট্য সহ-সভাপতি মো.আলমগীর পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারী পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আইজিপি বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টাস এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ (ডিআইজিকে) নির্দেশ দেন। যার স্মারক নং-২৭৯। ডিআইজি ওই অভিযোগের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। যার স্মারক নং-অভিযোগ ১৭/১৯২। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড.এ.কে ইকবাল হোসেন এ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের স্ব-শরীরে তার কার্যালয়ে হাজির থাকতে নোটিশ প্রেরন করেন। যার স্মারক নং-১৭০৯/২য়, তাং-২০/০২/২০১৭ইং। আগামি ২৭ ফেব্রুয়ারী রবিবার সকাল ১১টায় অভিযোগের বিষয়ে ১মপক্ষ মগনামা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো.আলমগীর ও ২য়পক্ষ পেকুয়া থানার ওসি ও মগনামা ইউপির চেয়ারম্যানকে নিয়ে জেরা অনুষ্টিত হবে। জানা গেছে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াসিমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনায়ন করেন আলমগীর। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে ওসি মোস্তাফিজ ও ওয়াসিম চেয়ারম্যান পেকুয়া উপজেলার মগনামা মোকাম দিয়ে ইয়াবা ও অবৈধ অস্ত্র পাচারে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপির এ চেয়ারম্যানের মুল শক্তি ওসি। কুতুবদিয়া চ্যানেলকে ঘিরে অবৈধ পথে অর্থ উপর্জনের পথ সুগম করেছেন ওসি ও চেয়ারম্যান। ওয়াসিম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মগনামায় আ’লীগ নিধনে ব্যস্ত রয়েছেন। তার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ইয়াবা সিন্ডিকেট। দখল ও পেশি শক্তির বলয় তৈরি করেছেন চেয়ারম্যান। যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন ক্যাডারকে সক্রিয় করে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানির মাধ্যমে মগনামার সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রন করছেন চেয়ারম্যান ওয়াসিম। বিগত এক বছরের ব্যবধানে এ ইউনিয়নে আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীরা তার অস্ত্রধারী ক্যাডারদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন। ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল এনামকে ফুলতলা ষ্টেশনে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রান নাশ চেষ্টা করে। ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারন সম্পাদক রশিদ আহমদকে দক্ষিন মগনামায় লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে চেয়ারম্যানের স্বসস্ত্র ক্যাডাররা। এ সবের কোন প্রতিকার পাইনি ভুক্তভোগিরা। ওসি জিয়া মোস্তাফিজ ভুঁইয়া এসব কর্মকান্ডের সরাসরি চেয়ারম্যান ওয়াসিমকে সহযোগিতা করেছেন। তার বির্তকিত কর্মকান্ড ও আ’লীগকে নিধনের মিশনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে লিখিত অভিযোগ দেন মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগ। সম্প্রতি মগনামা ইউনিয়নের রুকুরদিয়ায় জমি দখল-বেদখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। অভিযোগে প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর জানায় ওই ঘটনায় ওসি তার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় অপর পক্ষের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে লবন চাষের জমি থেকে কৃষকদের উচ্ছেদ করে ওসির মাধ্যমে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে চেয়ারম্যান ওয়াসিম আলবদর কমান্ডার ও মৃত্যুদন্ড কার্যকর মীর কাসেম আলীর অনুগত। রাজাকার মীর কাসেম আলীর প্রতিষ্টিত মিশন গ্রুপ কক্সবাজারের তদারকির দায়িত্ব আছেন শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম। ওসি একজন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিশ^স্থ সহচরের পক্ষে হাত মিলিয়েছেন। তারা আ’লীগের শক্তি খর্ব করার গভীর চক্রান্তে মেতেছেন।

পাঠকের মতামত: