ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় যুবলীগের সভায় হামলা ।। ফাঁকা গুলি, ছুরিকাঘাতে যুবলীগ নেতা আহত

sontrasi hamlaচকরিয়া প্রতিনিধি ।।

চকরিয়ায় যুবলীগের বর্ধিত সভা চলাকালে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি ৫-৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এ অবস্থায় উপস্থিত লোকজন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকলে পণ্ড হয়ে যায় বর্ধিত সভা।

এ সময় বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে রবিউল আলম (২৭) নামের কোনাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতাকে দিগম্বর করে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও বেধড়ক পেটালে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহত রবিউলের মামাতো ভাই মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ এবং আরো ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে হেতালিয়া পাড়া রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে। নাম উল্লেখ করা আসামীরা হলেন- মো. সেলিম, রুহুল আমিন, মো. ইলিয়াছ, মো. আজম উদ্দিন আজু, মো. হায়দার আলী, মো. ছালাউদ্দিন, মো. মোজাম্মেল।

অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি টমটম চালকদের মধ্যে অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটলে মিনার উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বিষয়টি উভয়পক্ষকে নিয়ে মিমাংসা করে দেন। এনিয়ে মিনারের উপর ক্ষিপ্ত হন সেলিম ও আজু। এর জের ধরে গত বুধবার মিনারের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান তারা। ওই ঝগড়ার বিষয়ে শুক্রবার ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে বৈঠক হয় উভয় পক্ষের। কিন্তু সেলিম ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানবে না জানিয়ে হুঙ্কার ছাড়েন। এরই অংশ হিসেবে ওইদিন ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বর্ধিত সভায় মিনারকে উপস্থিত পেয়ে সেখানে হামলা চালান। এতে পন্ড হয়ে যায় বর্ধিত সভা। এ সময় রবিউল বাধা দিলে তাকে দিগম্বর করে ছুরিকাঘাত ও বেধড়ক পেটায় সন্ত্রাসীরা।

বাদী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মূলত ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকুর ইন্ধনেই সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে যুবলীগের বর্ধিত সভায় এই হামলা চালিয়েছে।’

তবে বিএনপি নেতা ও চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু বলেন, ‘এই হামলার ঘটনায় আমার কোন ইন্ধন ছিল না। কেউ অভিযোগ করলে তা সত্য নয়। ঘটনার দিন আমি চট্টগ্রামে থাকলেও খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করি।’

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন, ‘হামলার ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, সেটি মামলা হিসেবে নেয়া হচ্ছে।’

পাঠকের মতামত: