ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালী রাবারড্যামে ফুটো বুরো চাষ নিয়ে চাষীরা শংকিত

ggggসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী রাবারড্যামে ছিদ্র (ফুটো) হওয়ার কারণে প্রায় ৪ শ হেক্টর জমির ১ হাজার চাষী চলতি বুরো মৌসুমের সেচ সুবিধা নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছে। সংশ্লিষ্ট চাষীরা বুরো ফলন নিয়েও শংকিত। অনেকে বিকল্প পানি সেচের পরিকল্পনা নিয়েছেন। যথাসময়ে রাবারড্যামের ছিদ্র (ফুটো) সংস্কার করা না হলে রোপিত এক তৃতীয়াংশ জমির বুরো আবাদ বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন ছড়া পানি সেচ সুবিধা সংশ্লিষ্ট কয়েক শতাধিক চাষী এমনতর অভিযোগ তুলেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, বিগত ২০০৪ সালে তৎকালিন সরকার প্রায় কোটি টাকা ব্যায় করে ইউনিয়নের ফুলছড়িতে খুটাখালী ছড়ার উপর চাষীদের সেচ সুবিধার জন্য রাবারড্যাম নির্মাণ করেন। নির্মাণের পর থেকে ইউনিয়নের খাস ঘোনা, ফুলছড়ি বিল, হেতালিয়া পাহাড়, বাককুমপাড়া, দক্ষিণ বিল, কাঠালিয়া পাহাড়, চেয়ারম্যান পাড়া ও কান্তিবিলসহ একাধিক এলাকা পানি সেচ সুবিধার আওতায় আসে। এসব জমিতে খুটাখালী ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমিতি প্রতি মৌসুমে সেচ সুবিধা দিয়ে আসছিল। বিগত ৬ মাস পূর্বে রাবার ড্যামের একই স্থানে বেশ ক‘টি ছিদ্র (ফুটো) দেখা দিলে তাৎক্ষনিক বিষয়টি ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দরা চকরিয়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীকে অবহিত করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী সম্প্রতি সরজমিন পরিদর্শন করে প্রাথমিক ভাবে ফুটো বন্ধ করে দেন। ছিদ্র (ফুটো) একাধিক জায়গায় হওয়ায় সংস্কারের কিছুদিনের পর ফের ছিদ্র (ফুটো) আরো বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে কয়েক দফে ছিদ্র (ফুটো) বন্ধ করা হলেও তা দীর্ঘ সময় টিকেনি। বর্তমানে রাবারড্যামের ছিদ্র প্রকট আকার ধারণ করায় কিছুতেই পানি আটকানো যাচ্ছে না। সপ্তাহে ২/৩ বার রাবারড্যাম ফুলানো হলেও বেশ ক‘টি ছিদ্রের কারণে কিছুতেই ড্যাম ফুলিয়ে রাখা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির।

খুটাখালী ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সভাপতি সাবেক মেম্বার কুতুব উদ্দিন জানান, ড্যামের ছিদ্র (ফুটো) দিন দিন বড় হচ্ছে। সপ্তাহে তিনবার করে ড্যাম ফুলানো হয়। তার পরও ফুটো দিয়ে পানি সরে পড়ায় ড্যামে পানি আটকানো যাচ্ছে না। প্রাথমিক ভাবে তাদের সমিতির অর্থায়নে ছিদ্র বন্ধ করা গেলেও তা ব্যয়বহুল ও সময়ের দরকার বলে তিনি দাবী করেন।

কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মনজুর আলম ছিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি তিনি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। স্থানীয় চাষীরা চলতি বুরো মৌসুমের সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে রাবারড্যাম সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: