ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁওতে থামছে না গরু চুরি

goruchurhuমোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::

বৃহত্তর ঈদগাঁওতে গরু চোর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য চলছেই। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না এদের। স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করেও কোন কূল কিনারা করতে পারছেন না। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বৃহত্তর ঈদগাঁওতে সম্প্রতি গরু চুরি ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেউ কেউ প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় এ অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। গরু চোররা স্থানীয় কসাই বা দূরের বাজারে নিয়ে চোরাই গরু নগদ দামে বিক্রি করে। এতে করে গৃহস্থালী লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন চরমভাবে। স্থানীয় লোকজনের দেয়া তথ্যমতে, গত কিছুদিনের মধ্যে ঈদগাঁওর চান্দেরঘোনা থেকে ১০টি গরু চুরি হয়ে যায়। এর মধ্যে মো. বদরুদ্দোজার ৪টি, আবু বক্করের ৪টি, মৃত ছব্বির আহমদের ২টি গরু রয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের কালিরছড়া উত্তর পাড়ার ছৈয়দ আলমের বাড়ী থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা বাঁধা দিলে তাদের গুলি করে পালিয়ে যায় চোরের দল। অন্যদিকে সাতঘরিয়া পাড়ার হাজী জাফর আলমের বাড়ী থেকেও ২টি গরু চুরির খবর পাওয়া গেছে। সার্বিক অবস্থা নিয়ে চরম দূর্ভোগে রয়েছেন এলাকার ভূক্তভোগীরা। তাদের মতে, চিহ্নিত গডফাদারের নেতৃত্বে গরু চোররা দিব্যি এ কাজ করে যাচ্ছে। তারা উক্ত গডফাদারকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। আরো খবর পাওয়া গেছে, বদরখালীতে বেড়েছে গরু চুরি। তাতে কয়েকজন চোর ধরা পড়ে হাতে নাতে। ইসলামপুরের নাপিতখালী, ঈদগাঁও মাইজপাড়ার গরু চোর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য সীমা ছাড়িয়েছে। গরু চুরিতে বাঁধা সৃষ্টি দেখলে চোরেরা গুলি চালাতেও দ্বিধাবোধ করছে না। ক্ষতিগ্রস্থ গরুর মালিকরা জানান, প্রশাসন একটু নজরদারী করলে গরু চোরেরা ধরা পড়বে। জনগণ ও প্রশাসন যুগপৎ চেষ্টা করলে তারা কিছুতেই রেহাই পাবে না। এদিকে সম্প্রতি গরু চুরি নিয়ে ঈদগাঁও কালিরছড়া ভুতিয়ার পাড়া ও রামুর রশিদ নগরের সীমান্তবর্তী স্থানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে একটি শালিসের আয়োজন করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর বিপুল সংখ্যক লোকদের পাশাপাশি সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারী মেম্বারদের মধ্যে ছিলেন ঈদগাঁওর মেম্বার কামাল উদ্দীন, মাহমুদুল হাসান মিনার ও রশিদ নগরের মেম্বার সাহাব উদ্দীন। এতে ২জন চোর উপস্থিত হলেও বাকী ২জন উপস্থিত না হওয়ায় শেষমেষ বিচারটি সম্পন্ন হয়নি। অভিযুক্ত দুজনের মধ্যে উপস্থিত ছিল নবী আলম ও সাদ্দাম হোসেন। নবী আলম স্থানীয় জিয়াউল হকের পুত্র। তাতে উপস্থিত লোকজন জানান, স্থানীয় ডাকাত বা চুরি পাড়ার সংঘবদ্ধ লোকজন গরু চুরিসহ নানা অসামাজিক কাজে জড়িত। এদের বেশিরভাগই দিনের বেলায় পাশর্^বর্তী গভীর বনাঞ্চলে অবস্থান করে। রাতে অপকর্ম করতে বন থেকে বের হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী ব্যাপক চেষ্টা করেও এ পাড়ার লোকজনকে অপকর্ম থেকে বিরত রাখতে পারছে না।

পাঠকের মতামত: