চকরিয়া প্রতিনিধি :
মৃত্যুর মিছিল থামছে না ? প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে সড়ক দুর্ঘটনা। ঝরছে তাজা প্রাণ। এভাবে আর কত মানুষ প্রাণ হারাবে। থামছে না অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলায় গত একবছরে অšত্মত শতাধিক মানুষের মৃত্যু ও সহস্্রাধিককে প—গুত্ববরণ করতে হয়েছে। একের পর এক দুর্ঘটনায় জনমনে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
চকরিয়া চিরিঙ্গা ও মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে, দিনদিন বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। রয়েছে অসহনীয় যানজট। দুর্ঘটনা এড়াতে মটরযান আইন থাকলেও তা মানছে না চালকরা। চালকদের অবহেলার কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কের বিভিন্নস্থানে আকা-বাঁকার কারণে দূর্ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া লবণ বোঝাই খোলা ট্রাক চলাচলে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সড়ক গুলো। গাড়ি থেকে লবণ পানি ও কোয়াশার পানি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। এতে করে বেড়ে চলছে দূর্ঘটনা। গত ১৩ মাসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিশেষ করে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধ-শতাধিক দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। সেখানে অšত্মত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে সহ¯্রাধিক মানুষ। অনেককে চির জীবনের জন্যে পঙ্গুত্ববরণ করতে হচ্ছে। এভাবে অকালে ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। অনেক সময় সড়কে দূর্ঘটনা ঘটলেও নিকটবর্তী এলাকায় হাসপাতালের অভাবে বিনা চিকিৎসায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়া যানবাহন গুলো মুখোমুখি সংঘর্ষে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে অšত্মত ২০জনের মৃত্যু এবং শতাধিক আহত হয়েছে। সচেতন মানুষের দাবী, সড়ক গুলোতে আর কত মানুষকে এভাবে প্রাণ দিতে হবে। নিরাপদ সড়ক চাই কক্সবাজার শাখার সভাপতি সাংবাদিক জসিম উদ্দিন কিশোর জানান, বিভিন্ন কারণে আশঙ্কজনকভাবে দূর্ঘটনা বেড়ে চলছে। বিশেষ করে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দূর্ঘটনা হচ্ছে।
দূর্ঘটনা নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন সময় কর্মসূচীও পালন করা হয়। পরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণ করলে অনেকটা দূর্ঘটনা কম বলে তিনি দাবী করেন।
রামু হাইওয়ে পুলিশের ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, চালকের অদ—গতা ও আকা-বাঁকা সড়কের কারণে দূর্ঘটনা বেড়ে চলছে। মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বা পণ্য পরিবহন, ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেক করা, যাত্রী উঠাতে চালকের প্রতিযোগিতা করা ও হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণেই বাড়চ্ছে সড়ক দূর্ঘটনা।
চালকদের আইন-কানুন না জানা, আইন বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকাই এর মূল কারণ হিসেবে দায়ী করছেন সংশি¯œষ্টরা। একদিকে যেমন সাধারণ জনগন ট্রাফিক আইন মেনে চলছেন না ঠিক তেমনি তা অনুসরণ করছেন না চালকরাও। আবার ট্রাফিক পুলিশও সেই আইন বাস্তবায়নে সবর্দা সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
চালকরা অধিক সতর্কতা অবলম্বনসহ দায়িত্বশীল হয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গাড়ি চালাবেন এমনটিই প্রত্যাশা সচেতন মানুষের।
প্রকাশ:
২০১৭-০২-১০ ১৬:১২:১৮
আপডেট:২০১৭-০২-১০ ১৬:১২:১৮
- চকরিয়াতে দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামসর্বস্ব অবৈধ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নজরদারী নাই
- লামা বনবিভাগের মানিকপুর রিজার্ভে পাহাড়কাটার ধুম: নিরব প্রশাসন
- চকরিয়ায় বাড়ির পাশে ট্রেন দেখতে গিয়ে কাটাপড়ে কিশোরী মাদারাসা ছাত্রীর মৃত্যু
- চকরিয়ায় ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
- চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুবুল হকের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের মানববন
- চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ ১৯ ঘন্টা পর উদ্ধার
- চকরিয়ায় সাড়ে ৫ কেজি গাঁজাসহ পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার
- পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ পালাল আসামি
- রামুতে ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
- চকরিয়া ৩৪ বছরের চলাচলের রাস্তা দখলমুক্ত করলেন ইউএনও, খুশি এলাকাবাসী
- চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তে পুড়ে ছাই ৫ বসতঘর, ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন
পাঠকের মতামত: