ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় প্রকাশ্যে খাবার হোটেলে হামলা ক্যাশ ভেঙ্গে টাকা লুট, মারধরে আহত-৩

চকরিয়া পৌরশহরে খাবার হোটেলে হামলা ও ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয় এক কর্মচারীকে।

Chakaria Pic 07-02-2017. এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া পৌরশহরে প্রকাশ্যে কাশবন নামের একটি খাবার হোটেলে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তুচ্ছ ঘটনার জেরে ১৫-২০জনের একটি গ্রুপ লাঠি-সোটা ও হকিষ্টিক নিয়ে হোটেলে ঢুকে হামলা চালিয়ে ম্যানেজারসহ তিনজনকে মারধর করে ক্যাশ ভেঙ্গে লুটে নিয়ে গেছে নগদ ৭৪ হাজার টাকা। মঙ্গলবার দুপুরে চকরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ওশান সিটি মার্কেটের নীচতলায় ওই খাবার হোটেলে ঘটেছে এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম।

অভিযোগে খাবার হোটেলটির মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে স্থানীয় রুপালী ব্যাংকের জাহেদ নামের এক কর্মচারী এসে ৪-৫জন যুবককে সাথে নিয়ে হোটেলে বসে দুটি চা ভাগ করে খাচ্ছিলেন। ওইসময় হোটেলের ম্যানেজার ও অপর এক কর্মচারী এ ধরণের চা বিক্রি করা যাবেনা বলে তাদেরকে জানায়। এ ঘটনা নিয়ে ম্যানেজার ও কর্মচারীর সাথে যুবকদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাঁরা চলে যায়। হোটেল মালিক অভিযোগ করেন, প্রথম ঘটনার প্রায় ৩০ মিনিট পর দুপুর দেড়টার দিকে ফের অভিযুক্ত যুবকরা আরো ১০-১২জনকে সঙ্গে করে লাঠি-সোটা ও হকিষ্টিক নিয়ে হোটেলে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর করে। এতে দোকানের ক্যাশ টেবিল ও চেয়ার ও বিপুল পরিমাণ আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এক পর্যায়ে তাঁরা ক্যাশ ভেঙ্গে দিনের বিক্রি বাবত ২৪ হাজার টাকা ও আগের দিনে জমা থাকা ৫০ হাজার টাকা ড্রয়ার থেকে লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়।

হোটেলটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ঘটনার সময় হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গেলে হোটেলের ম্যানেজার জালাল উদ্দিন, মালিকের ভাই খোকন ও কর্মচারী আবু বক্করকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তাদেরকে স্থানীয় একটি ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন হোটেলটির মালিক জাহাঙ্গীর।

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, খাবার হোটেলে ঢুকে হামলা-ভাংচুর এবং টাকা লুটের ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। #

পাঠকের মতামত: