ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় কিশোর ‘রাসেল’র কাকুতি

নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :::
rusel
পেকুয়ায় কিশোর মো.রাসেল বাঁচতে চায়। ছেলেটি প্রাণোচ্ছল। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে মৃত্যু যন্ত্রনা নিয়ে হাসপাতালে ছটফট করছে ছেলেটি। ষোল বছরের এ ছেলেটি প্রতিনিয়ত গুনছে মৃত্যুর প্রহর। মৃত্যু যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাকে। তার জীবন প্রদীপ প্রায় নিভু নিভু। কিন্তু ছেলেটি বাঁচতে চাই। স্বপ্ন দেখছে বাঁচার। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে। গত পাঁচ মাস আগে মো.রাসেল মা-বাবার সংসারে স্বচ্ছলতা যোগাতে গভীর নলকুপ (টিউবওয়েল) স্থাপন কাজে যোগ দিতে শ্রমিক হিসেবে কুতুবদিয়ায় যান। আলী আকবর ডেইল এলাকায় কাজ চলমান সময় প্রায় একশ ফুট উপর থেকে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় রাসেল মারাত্বক আহত হয়। ওই দুর্ঘটনায় তার দু’পা, মেরুদন্ড ও সমস্ত শরীরের সক্রিয়তা নিস্তেজ হয়ে যায়। রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাকে শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক সার্জরী দেয়া হয়। বর্তমানেও রাসেল চট্টগ্রামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছে। মো. রাসেল পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ঘাটমাঝির পাড়া এলাকার মো.আক্কাসের ছেলে। তার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল তৃতীয়। বড় হচ্ছে দু’বোন। ছেলেদের মধ্যে রাসেল বড়। দরিদ্র এ পরিবারের ভরন পোষনের প্রধান নির্ভরতা ছিল তার উপর। তার বাবা দিনমজুর। শারীরিক অক্ষমের মধ্যেও মাঝে মধ্যে কাজ করতেন। তবে সব ছিল রাসেলের উপর। এদিকে রাসেলের এ পরিনতিতে সংসারে চরম অনিশ্চিয়তা ও অর্থ সংকট বিরাজ করছে। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। সংসারে যা ছিল তা ছেলের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেছেন। এরপর ছেলেকে প্রানে বাঁচানোর জন্য মানুষদের কাছ থেকে ধার নিয়েছে অতিরিক্ত তিন লাখ টাকা। নিজেদের জমি জমা নেই। এর পরেও আকাশি বন্ধক দিয়েছে ভিটা বাড়ি। এসব ছেলের প্রান বাচানোর জন্য করা হয়েছে। বর্তমানে রাসেলের অবস্থা আরো অবনতি হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কিশোর রাসেলকে বাচানো যাবে। তবে তার উপযুক্ত চিকিৎসার প্রয়োজন। তার আরো দু’টি অপারেশন প্রয়োজন। এগুলো ব্যয় বহুল। তার পিতা আক্কাস জানায় আমার ছেলে বাচতে চায়। উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে সে ইনশেআল্লাহ বাঁচবে। আমার যা সম্পদ ছিল তা শেষ করেছি। এরপর ধার কর্জ নিয়েছি। এখন আর দেবার মত কিছুই নেই। ছেলের এ অবস্থায় আমরাও কঠিন অবস্থায় পড়ে গেছি। ছেলের মা পাঁচ মাস ধরে তাকে নিয়ে হাসপাতালে আছে। সেও অসুস্থ হয়ে গেছে। মা রাশেদা বেগম জানায় আপনারা আমার আদরের ছেলেকে বাঁচান। আমি গরীব। সমাজ ও বিবেক তার পাশে এসে দাঁড়ালে এ পৃথিবীতে একটি প্রান আবারো সঞ্চারিত হবে। আমার গর্বের ধন রাসেল না বাঁচলে আমি বাঁচবোনা। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি জীবন বাঁচানো যাবে। এ ছেলেটি কঠিন অবস্থায় পড়েছে। চিকিৎসা ও অর্থের কারনে একটি জীবন নিভে যাবে তা কি করে হয়। আমরা এ দরিদ্র পরিবারের অসহায় ছেলেটিকে বাঁচাতে সর্বস্থরের মানুষের আর্থিক সহায়তা কামনা করছি। পাশা পাশি তার জন্য দোয়া ও আর্শিবাদ প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে দেন। কিশোর রাসেল বাচতে চায়। আবারো ফিরে আসতে চায় স্বাভাবিক জীবনে। কঠিন হয়েছে অর্থ। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা। তবে চিকিৎসা ও বেঁেচ থাকা তার মৌলিক অধিকার। কোন বিবেক ও মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন মানুষ তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসতে পারেন। এমনকি ০১৮৩৭-৮৩১০৫২ নাম্বারে যোগাযোগ করে বাড়াতে পারেন সহযোগিতার হাত।

পাঠকের মতামত: