ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষিকাকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি চকরিয়ার জাফর চেয়ারম্যানের

শাহেদ মিজান, কক্সবাজার :
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের বিরুদ্ধে এক শিক্ষা পরিবারকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষিকা চকরিয়ার উপজেলার ডুলাহাজারার রিংভং দক্ষিণ পাহাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হুমাইরা আজাদী। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। ওই শিক্ষিকা ডুলাহাজারা রিংভং সগিরশাহ পাড়া দক্ষিণপাহাড় এলাকার আলী আহমদের স্ত্রী।
প্রধান শিক্ষিকা হুমাইরা আজাদী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০০৫ সালে তৎতালীন রিংভং দক্ষিণ পাহাড় রেজি: প্রাথমিক প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন চকরিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড পালাকাটা মৃত আহমদ সাহাব উদ্দীনের স্ত্রী মালেকা বেগম। পরে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে মালেকা বেগম পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাকুরিতে যোগ নেন তিনি। এর মধ্যে ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি করণ হয়। সরকারি হওয়ার পর ফের বিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় প্রবেশের চেষ্টা করে মালেকা বেগম। মালেকাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য হুমায়রাকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম ও তার স্ত্রী শাহেদা জাফর। এই পদ নিয়ে মামলা থাকায় মালেকাকে বিদ্যালয়ে যোগদান করাতে অনীহা প্রকাশ করেন প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা আজাদী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮ জানুয়ারি সকালে জাফর আলম ও তার স্ত্রী শাহেদা জাফরের নেতৃত্বে একদল লোক পাঠদান কালে বিদ্যালয়ে হানা দেয়। এসময় শত শত ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দিয়ে হুমায়রাকে টানা হেঁচড়া, কিল, ঘুষি, লাথি মারেন হামলকারীরা। একই সাথে তার শালীনতাহানিও করেন। এ ঘটনায় হুমায়রা আজাদী বাদি হয়ে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে জাফর আলম গং। মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারা। মামলা তুলে না নিলে শিক্ষিকা হুমায়রাকে স্বপরিবারের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
হুমায়রা আজাদী বলেন, ‘মামলা তুলে নিতে জাফর আলম ও তার স্ত্রী শাহেদা মালেক বার বার হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকিতে আমি পুরো পরিবার নিয়ে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এই জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমি।’

পাঠকের মতামত: