ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁও রাবারড্যাম অবশেষে পরিপূর্ণ

ঈদগাঁও প্রতিনিধি  :
কক্সবাজার সদর উপজেলার তথা বৃহত্তর ঈদগাঁওর আড়াই হাজার একর জমি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল বৃহত্তর ঈদগাঁওর কৃষকেরা। এতে বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে ইতিমধ্যে নলকূপ স্থাপন করে পানি সেচ দিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। অন্যদিকে প্রায় দু’হাজার একর জায়গা এমনি পড়ে থাকে। রাবার ড্যাম কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষকদের দাবী। এদিকে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত হতাশা কাটিয়ে এবার আশার আলো খুঁজে পেতে যাচ্ছে হাজার হাজার চাষী ও এলাকাবাসী। বহুদিন পর ঈদগাঁও রাবারড্যামের আওতায় ৮ হাজার হেক্টর তথা ২৫শ একর চাষাবাদ শুরু হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সর্বশ্রেণির মানুষের মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। জানা যায়, বিগত ২ ডিসেম্বর ঈদগাঁও রাবারড্যামের সংস্কার কাজ শুরু হয়। প্রায় দু’মাস ধরে সংস্কার কাজ চলার পর গত ২৭ জানুয়ারী এর সমাপ্তি ঘটে। আরো জানা যায়, ১৯৯৬ সাল হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পুরাতন রাবার ব্যাগ দিয়ে চাষাবাদ কার্যক্রম চলে আসছে। কিন্তু ২০১৬ সালের মার্চের দিকে নতুন রাবার ব্যাগ সূদুর চীন থেকে আমদানী করা হয়। বর্ষাকাল চলে আসায় এ রাবার ব্যাগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ঐ স্থানে নতুন রাবার ব্যাগ বসানো হয়েছে। আর বিগত বছরের তুলনায় রাবার ব্যাগ থেকে পানি উপচে পড়বে না বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সূত্র মতে, বহুল প্রত্যাশিত এ রাবার ড্যামের আওতায় ঈদগাঁও, জালালাবাদ, ইসলামাবাদসহ পোকখালী ও চৌফলদন্ডীর আংশিক এলাকায় চাষাবাদ কার্যক্রম চলে। তন্মধ্যে চৌফলদন্ডীর নতুন মহাল, রোহিঙ্গা পাড়া, মাতবর পাড়া ও পোকখালীর ইছাখালী এলাকাটি এর আওতাভূক্ত। এ ২ ইউনিয়নের বাকী এলাকায় অধিকাংশ লবণ মাঠ এবং কিছু কিছু চাষাবাদ পোকখালীর নতুন রাবার ড্যাম দিয়ে চলে আসছে। ৩১ জানুয়ারী সকালে সূদুর চীন থেকে আমদানীকৃত নতুন রাবার ব্যাগটি অনানুষ্ঠানিক ও পরীক্ষামূলকভাবে আড়াই ফুট আকার করে ফুলানো হয়। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর সম্পাদক ও ইসলামাবাদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাফর আলম রূপালী সৈকতের এ প্রতিবেদককে উপরোক্ত নিশ্চয়তা প্রদান করেন। পাশাপাশি এলাকার সচেতন যুবক মোস্তাক আহমদ জানান, সাবেক জনপ্রতিনিধি জাফর আলমের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে রাবার ড্যামের এ ফসল। সচেতন এলাকাবাসীর মতে, দীর্ঘদিন ধরে অযতœ-অবহেলায় পড়ে থাকা রাবার ড্যামটি নতুন ব্যাগ দিয়ে পুনরায় সংস্কার করে চাষাবাদ কার্যক্রমে হতাশা কাটিয়ে বৃহত্তর এলাকাবাসী নতুন করে জাগতে শুরু করেছে।

পাঠকের মতামত: