ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বান্দরবানে ২৮টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ::::

বান্দরবানেbrik f ukর লামা উপজেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত ২৮টি ইটভাটা বন্ধ ও জেলায় আরও ২৪টি ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ ইটভাটাগুলো পরিবেশগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নোটিশ পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে বন্ধ করতে ভাটার মালিকদের বলা হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানিয়েছেন।
লামার ইটভাটার মালিকেরা বলছেন, তাঁরা কেউ কেউ নোটিশ পেয়েছেন, সবাই পাননি। প্রত্যেক ইটভাটায় কোটি টাকা বিনিয়োগ করে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বন্ধ করতে বলা অযৌক্তিক। প্রশাসন এসে বন্ধ করে না দিলে তাঁদের পক্ষে ইটভাটা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ইটভাটার লাইসেন্স প্রদানসংক্রান্ত জেলা পরিবেশ অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী বলেন, পরিবেশ অনুসন্ধান কমিটি থেকে লামা উপজেলার ইটভাটাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখানে শুধু ফাইতং ইউনিয়নে লোকালয়ে ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় অনুমোদনহীন ২৪টি ইটভাটা পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে চারটি ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০টি ইটভাটার কাউকে পাওয়া যায়নি। ফাইতংয়ের ২৪টিসহ লামার ২৮টি ইটভাটাই মারাত্মকভাবে পরিবেশগত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেগুলো বন্ধের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া বান্দরবান সদর উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলায় আরও ২৪টি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, অনুসন্ধান কমিটির অনুসন্ধানে পাওয়া জেলায় ৫২টি ইটভাটার একটিরও সরকারি অনুমোদন নেই। সরকারি অনুমোদনের জন্যও আবেদনও করা হয়নি। বান্দরবান সদর উপজেলার ১২ জন মালিক উচ্চ আদালতে রিট করে ইটভাটা পরিচালনার অনুমতির আবেদন করেছেন। আদালত পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে বিষয়টি নিয়ে জবাব চেয়েছেন।
গত রোববার ইটভাটা বন্ধের নোটিশ পাওয়ার কথা জানিয়ে লামা ফাইতং ইউনিয়নের ইটভাটা মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফকরুল ইসলাম বলেন, সরকারি অনুমোদন না থাকলেও তাঁরা সরকারকে মূসক ও আয়কর দিয়ে এবং জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদকে স্থানীয় কর দিয়ে ইটভাটাগুলো পরিচালনা করছেন। মৌসুমের শুরুতে ইটভাটা না করতে বলা হলে তাঁরা করতেন না। কিন্তু এখন কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের পর বন্ধের নোটিশ প্রদান অযৌক্তিক। এ অবস্থায় প্রশাসন এসে বন্ধ করে না দিলে তাঁদের পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ মালিকদের বিনিয়োগ ছাড়াও শত শত শ্রমিক সেখানে কর্মরত।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেছেন, ইটভাটার জন্য সরকারি অনুমোদন না নিয়ে সরকারি রাজস্ব প্রদান করার ইটভাটার মালিকদের দাবি অযৌক্তিক। পরিবেশগত ক্ষতির বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসায় এবং পরিবেশ অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশে ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে যাঁরা রিট করেছেন, তাঁদের রিটের বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: