ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভোটের প্রস্তুতি, ছক কষছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি

alig bnpমানবজমিন :::

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দলীয় গণ্ডি থেকে নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তৃণমূলে। তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনী ছক কৌশল। যদিও নির্বাচন কার্যক্রম এখনো দৃশ্যমান হয়নি। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রধান দুই দলই সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোরেশোরে এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এতে যুক্ত হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি তারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরছেন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে। এছাড়া বিগত সময়ে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ভুলভ্রান্তি শোধরাতে ইতিমধ্যে কড়া বার্তা দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎপরতা শুরু করেছে বিএনপিও। দলটি সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া আরো আগে থেকেই শুরু করেছে। নির্বাচনের সময় সামনে আসায় এ কার্যক্রমে গতি আনতে চাইছে দলটি। এদিকে নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হওয়ায় দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নড়েচড়ে বসেছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। সামাজিক কর্মকাণ্ডেও বেড়েছে তাদের তৎপরতা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন নানাভাবে। নির্বাচন প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রার্থীদের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহের কাজও চলছে আওয়ামী লীগে। একাধিক মাধ্যমে প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে প্রার্থীদের একটি সম্ভাব্য খসড়া তালিকা করা হবে নির্বাচনের আগেই। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন ইমেজের প্রার্থী বাছাইয়ে আগে থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। দলের নির্বাচন পরিচালনা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে এখন দল গোছানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা একটি কার্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ের পাশে আলাদা একটি ভবনে এ কার্যক্রম চলবে। বৃহৎ পরিসরে এ কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সব কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এজন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে দেয়া হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। গত ১৪ই জানুয়ারি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করারও নির্দেশ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এ নির্দেশনার পর দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী লক্ষ্য নিয়ে জেলা সফর শুরু করেছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকির জন্য আটটি বিভাগীয় টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নেতাদের সাংগঠনিক সফর ও কর্মসূচিতে দল গোছানো, তৃণমূলে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব দূর করা এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দলের ও সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে।
তিন প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: এদিকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে চলছে বিএনপির নির্বাচন প্রস্তুতি কার্যক্রম। সময় মতো সে প্রস্তুতির পরিধি বাড়াবে দলটির নীতিনির্ধারক ফোরাম। বিএনপির দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা জানান, সময়ের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলকে নানা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তার সবই কার্যকর ও অর্থবহ হয় না। কোনো সিদ্ধান্ত অদূরদর্শী বা সার্বিক পরিস্থিতিতে বাস্তবায়ন জটিল হয়ে পড়লে সেখান থেকে দ্রুত সরে দাঁড়ানো এবং নতুন পথে হাঁটাই যৌক্তিক। একটি জনসম্পৃক্ত ও গতিশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির সে সক্ষমতা রয়েছে। নেতারা জানান, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিতে একতরফা ছিল ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন। সে নির্বাচনের আগে শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। সরকারের তরফে তখন সে নির্বাচনের যৌক্তিকতা দেখিয়ে বলা হয়েছিল, এটা সাংবিধানিকভাবে পরিস্থিতি উত্তরণের একটি ধাপ। শিগগিরই নতুন নির্বাচন হবে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের নির্বাচন বর্জনের যৌক্তিকতার মধ্যে একটি সূত্র হিসেবে কাজ করেছিল সেই সম্ভাব্য ‘নতুন নির্বাচন’। কিন্তু একতরফা নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার নতুন নির্বাচনের সেই কমিটমেন্ট দৃশ্যত অস্বীকার করে। বিএনপির ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। একতরফা নির্বাচনের প্রথমবার্ষিকীতে বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনে সরকার বাধা দিলে সে কর্মসূচির দৈর্ঘ্য বেড়ে যায় টানা তিন মাসে। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রতিকূলতা ও সরকারের কঠোর অবস্থান ব্যর্থ করে দেয় বিএনপির সে লক্ষ্যহীন আন্দোলন। উল্টো নেতাকর্মীদের বিপর্যস্ত করে দেয় হামলা-মামলা আর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত নানা নৈরাজ্যে ক্ষুণ্ন হয় দলের ইমেজ। অস্থির ও কুটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে সরকারের ওপর প্রভাবশালী বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর চাপও মিইয়ে আসে। বিএনপি নেতারা জানান, পরিস্থিতি বিবেচনা করে তখন রাজনৈতিক পথচলায় কৌশলগত পরিবর্তন আনে বিএনপি। রাজপথের আন্দোলন থেকে সরে এসে ধীরে চলো নীতির পথে শুরু করে হাঁটা। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমেই বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হবে। তার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের মধ্যে ব্যাপকভিত্তিতে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বিএনপি।
নির্বাচনী প্রস্তুতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলটির কয়েকজন নেতা জানান, প্রাথমিকভাবে তিনটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলছে সে কার্যক্রম। প্রক্রিয়া তিনটি হচ্ছে- সাংগঠনিক পুনর্গঠন, থিঙ্কট্যাংকের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং কূটনীতিসহ সার্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনার মাধ্যমে দলীয় কৌশল প্রণয়ন এবং দেশি-বিদেশি রাজনীতিক ও কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও সম্পর্ক বৃদ্ধি। সংশ্লিষ্টরা জানান, সাংগঠনিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী ও সক্রিয় করা হবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা ও গঠনমূলক প্রস্তাবনার ভেতর দিয়ে তৈরি হবে জনমত। সেই সঙ্গে দেশীয় রাজনৈতিক মহল ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে তৈরি করা হবে আন্দোলন বা নির্বাচনের বৃহত্তর প্রেক্ষাপট। সংশ্লিষ্টরা জানান, তিনটি প্রক্রিয়ার প্রতিটি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তত্ত্বাবধানে। তবে প্রতিটি প্রক্রিয়ায় গ্রুপভিত্তিতে কাজ করছেন দলটির সিনিয়র কিছু নেতা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান। এ কাজে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ পালন করছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী, সক্রিয় এবং কোন্দল কমাতে এক নেতা এক পদ নীতিসহ দলের গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংশোধনী আনা হয় কাউন্সিলে। ইতিমধ্যে সেসব নীতির বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পুনর্গঠন করা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ চারটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এসব পুনর্গঠনেও রয়েছে দলটির নির্বাচনমুখী পথচলার ইঙ্গিত। যার ধারাবাহিকতায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে ঢাকা মহানগর, সারা দেশে জেলা ও মহানগরসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পুনর্গঠন সম্পন্নের লক্ষ্য কাজ চলছে। আগামী নির্বাচনের প্রচারণা বা আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখতেই নানা প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট নেতারা জানান, দলের নতুন পথচলা সুগম ও নির্বাচন প্রস্তুতি অর্থবহ করতে নীতিনির্ধারণ এবং বিভিন্ন বিষয়ে কৌশল প্রণয়নে কাজ করছে সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে একটি থিঙ্কট্যাংক। কৌশল প্রণয়ন ও নীতিনির্ধারণে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কোন্দল ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটাতে এ থিঙ্কট্যাংকের বিষয়টি গঠনতন্ত্রে যুক্ত করা হয় কাউন্সিলেই। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজনৈতিক পথ চলতে অভিজ্ঞদের পাশাপাশি থিঙ্কট্যাংকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তরুণ নেতৃত্বের পরামর্শ ও মতামত। বর্তমানে সেই থিঙ্কট্যাংকে কাজ করছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ কয়েকজন। তবে বিশেষ বিশেষ ইস্যুতে দলের সিনিয়র নেতা, পেশাজীবী নেতা ও দলটির শুভাকাঙ্ক্ষী বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামত নেয়া হচ্ছে থিঙ্কট্যাংকের কার্যক্রমে। রাজনৈতিক ও সার্বিক বিষয়ে তারা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নানা কৌশল ও পরামর্শ প্রস্তাবনা আকারে দেন। থিঙ্কট্যাংকের দেয়া পরামর্শের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে চারটি বড় ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন দলটির চেয়ারপারসন ও মহাসচিব। যার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও রামপাল ইস্যুতে সরকার এবং দেশবাসীর প্রতি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাবনা। অন্যদিকে থিঙ্কট্যাংকের অনুসন্ধান ও পরামর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে তথ্য-উপাত্তসহ সংবাদ সম্মেলন করেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে দূতিয়ালি ও আন্তর্জাতিক মহলে কূটনীতির মাধ্যমে পার্টি টু পার্টি যোগাযোগ এবং সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ। দলের পলিটিক্যাল ও ডিপ্লোম্যাটিক উইংয়ে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কাজ করছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানসহ কয়েকজন নেতা। বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, দলের শীর্ষ দুই নেতা চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনের আসনভিত্তিক জরিপ, সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে একটি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত সে প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক ফরমেট দেয়া হয়নি।
নির্বাচনী প্রাকপ্রস্তুতি নিয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপির বড় একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই তো ক্ষমতায় যেতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে বিএনপি। আগামীতে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে একটি রূপরেখা দেবে। এগুলো তো নির্বাচন প্রস্তুতিরই অংশ। এছাড়া আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতির প্রাকপ্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে কাজ করছেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় গেছে, দেশ পরিচালনা করেছে। নির্বাচনী অভিজ্ঞতা, নির্বাচন প্রস্তুতির নিজস্ব প্রক্রিয়া ও কৌশল তো এ দলটির আছেই। আর রাজনৈতিক দলের সংগঠন পুনর্গঠনের মধ্যে, আলাপ-আলোচনার মধ্যে এমনকি আন্দোলনের মধ্যেও নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকে। যখন যেটা প্রয়োজন সেটাই আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া সরকার ২০১৪ সালের মতো একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা করলে তা প্রতিহতের প্রস্তুতিও চলছে সমানতালে। ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, সাংগঠনিক পুনর্গঠন, আলোচনা, কূটনীতি ও থিঙ্কট্যাংকের মাধ্যমে কৌশল প্রণয়ন, জরিপ ও জনমত তৈরিসহ নানামুখী নির্বাচন প্রস্তুতি চলছে। আবার সরকার যথাসময়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে নির্বাচনের আয়োজন না করলে সেটা আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের প্রস্তুতিও চলছে। এসব কর্মকাণ্ডে চেয়ারপারসন নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তাকে সহায়তা করছেন মহাসচিব।

পাঠকের মতামত: