মিজবাউল হক, চকরিয়া:
আপন ফুফার হাতে খুন হলেন রশিদুল ইসলাম বাবু (৮) নামের এক স্কুল ছাত্র। চকরিয়া উপজেলা পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটা উত্তরপাড়া গ্রামে ফুফুর শ্বাশুর বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতেন ওই ছাত্র। সে বদরখালী ইউনিয়নের ৩নং ব্লকের রিদুয়ানুল হকের পুত্র। ঘটনার পরপরই ঘাতক ফুফা রিদুয়ান পালিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ফুফা রিদুয়ান ওই ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করে।
তার স্বজনরা জানান, রশিদুল ইসলাম বাবু দরবেশকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়েন। তার বদরখালী থেকে যাওয়া আসা করতে সমস্যা হওয়ায় পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটা উত্তরপাড়ার ফুফার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতেন।
রবিবার রাতে রাতে ঘুমানো অবস্থায় খাটের মধ্যে পায়খানা করেন বাবু। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফুফা রিয়াদুল হক ওই শিশুকে মারধর করেন। খবর পেয়ে শিশুটির মা দরবেশকাটা এসে কাপড়-চোপড় পরিস্কার করে দেন। এরপরও ফুফা রিদুয়ান সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় স্ত্রীকে শাসিয়ে দিয়ে ওই শিশুকে বদরখালী বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে রিদুয়ান বাড়িতে ফিরলে ওই শিশুকে দেখে স্ত্রীকে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে শিশুকে মারাত্মকভাবে আহত করে। শিশুর অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় ঘাতক ফুফা। পরে স্বজনরা শিশুকে উদ্ধার করে জমজম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে মারা যায়।
পশ্চিমবড়ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা জানান, স্কুল ছাত্র বাবু পড়ালেখার জন্য তার ফুফার বাড়িতে থাকতেন। তার বাড়ি বদরখালীতে। রবিবার রাতে শিশুটি ফুফার বাড়ির খাটে ঘুমানোর সময় পায়খানা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ফুফা রিদুয়ান।
চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মো.কামরুল আজম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুটির শরীরে অন্তত ৮টি আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল রাত ১০টার দিকে ফোনে শিশু বাবু’র মামাতো ভাই রাকিব জানিয়েছেন, চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা এখন ফের লাশ নিয়ে চকরিয়ার পথে রওয়ানা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: