ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁওতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে কোচিং বাণিজ্য!

choching businesssসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার পাশাপাশি কোচিং শিক্ষায় ঝুঁকে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। শুধু শহরের গণ্ডিতেই নয়, মফস্বলের প্রত্যন্ত গ্রামেও চলছে এ ভয়াবহ কোচিং বাণিজ্য। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়েছে এ ভয়াবহ কোচিং শিক্ষায়। কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে কোচিং বাণিজ্য। মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন লোভনীয় পোস্টার ব্যানার লাগিয়ে আকর্ষণের দিক বাড়িয়ে তুলছে এই কোচিং সেন্টারগুলো। কোচিং সেন্টার বন্ধে সরকারি কোনো নীতিমালার প্রয়োগ না থাকায় বেপরোয়া গতিতে কোচিং বাণিজ্য প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ডের মোড়ে মোড়ে, বাড়ির দেওয়ালে লোভনীয় পোস্টার ব্যানার লাগিয়েছে কোচিং সেন্টারগুলো। জিপিএ-৫ গোল্ডেন এ প্লাস নামক শতভাগ পাসের নিশ্চয়তা দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করে, শিক্ষার্থীদের আকর্ষিত করছে কোচিং সেন্টারগুলো। আর এতে জেনে হোক না জেনে হোক ঝুঁকে পড়ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এভাবে চললে খুব সহজেই ঝরে পরবে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কোচিং হোম, কোচিং সেন্টার, মেধাবিকাশ, টিচিং হোম, অনুশীলন, শিক্ষা নিকেতন, প্রাইভেট টিচিং, ক্যাডেট কোচিংসহ প্রায় শতাধিক কোচিং সেন্টারে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে অবাধে কোচিং ব্যাবসা। এসব কোচিং সেন্টার বন্ধে সরকারি কোনো আইনই কাজে না আসায় একদিকে শিক্ষার্থী যেমনটা ঝুঁকে পড়ছে, তেমনি অভিভাবকরাও ভাল ফলাফলের আশায় তাদের অর্থ সম্পদ কাজে লাগিয়ে একাধিক কোচিং সেন্টারে পাঠাচ্ছে তাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোচিং সেন্টারের পরিচালক বলেন, শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতেই এ ধরনের শিক্ষা প্রদান করছি, তবে সরকারিভাবে বন্ধ করা হলে প্রতিষ্ঠান করে দেয়া হবে। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তেমন কোনো লেখাপড়া না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রাইভেট কোচিং শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, কোচিং সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, কোচিং বন্ধে সরকারি নীতিমালা রয়েছে, তা বন্ধে অচিরেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত: