ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁওর ২০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব ফাইলবন্দি

সেলিম উmedicalদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি, কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও এ একটি ২০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা প্রায় ৫ বছর ধরে আটকে আছে মন্ত্রণালয়ে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে ২০১২ সালে ওই প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও তদারকির অভাব এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সেটি আলোর মুখ দেখেনি। এতে প্রত্যাশিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ছয়টি ইউনিয়নের জনগণ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ২০ শয্যার নয়, বরং একটি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মানের দাবী উঠেছে।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, জেলা সদরের সাথে বৃহত্তর ঈদগাঁওর আওতাভুক্ত পোকখালী, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও, চৌফলদন্ডী ও ভারুয়াখালী ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত অনুন্নত। একজন সংকটাপন্ন রোগীকে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনতে হয়। রাস্তার অবস্থা করুন হওয়ায় অনেক সময় রোগীর প্রাণহানি ঘটে। ‘স্বাস্থ্য সেবার দিক থেকে বৃহত্তর ঈদগাঁওর মানুষ এখনও অবহেলিত। ঈদগাঁও বাজারের কাছে যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে সেটি নিজেই এখন রোগী। ওখানে একজন ভালো ডাক্তার থাকেন না। একটি এ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত নেই। অবহেলিত এই জনপদে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ খুবই জরুরী।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ফিরোজ উদ্দিন খোকার বাড়ি ঈদগাঁওর পোকখালীতে। তিনি বলেন, ‘ঈদগাঁওতে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হলে মোট ৮টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা এর সুফল পাবে। চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় বৃহত্তর ঈদগাঁওর আওতাভুক্ত ৬টি ইউনিয়ন ছাড়াও রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়ন এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দারাও ঈদগাঁও হয়ে কক্সবাজার শহরে চিকিৎসা নিতে যায়।

জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ বলেন, ‘এখানে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হলে সেটি হবে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে প্রান্তিক, সুবিধা বঞ্চিত লাখো মানুষ অধিকতর উন্নত চিকিৎসা সেবার আওতায় আসবে। সংকটাপন্ন রোগীকে নিয়ে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে জেলা শহরে ছুটে যেতে হবে না। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। আন্তর্জাতিকভাবেও তাঁর স্বীকৃতি মিলেছে। আমরা এই সরকারের আমলেই ঈদগাঁওতে পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি ৩১ শয্যার হাসপাতাল দেখতে চাই।’

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল্লাহ বলেন, ‘ঈদগাঁও বাজারে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও স্বাস্থ্য সেবার মান যথাযথ নয়। ঈদগাঁও বাজারের জালালাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পাশে একটি পরিত্যক্ত ভবন এবং হাসপাতাল তৈরীর জন্য পর্যাপ্ত খালি জায়গা আছে। ওই জায়গায় ইতোপূর্বে একটি হাসপাতাল তৈরীর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তদারকির অভাবে তা অগ্রসর হয়নি। তাই বৃহত্তর ইদগাঁও-এ জনগণের স্বাস্থ্য সেবার স্বার্থে একটি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরীর করা প্রয়োজন। বিষয়টি আমি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় উত্থাপন করেছি।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ পুচনু বলেন, ‘ঈদগাঁওতে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণে ৩ একর জায়গা প্রয়োজন। ২০১২ সালে যৌক্তিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করে ঈদগাঁওতে হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এ বিষয়ে আর কোন কিছু জানানো হয়নি।

পাঠকের মতামত: