ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় নারী নির্যাতন মামলায় ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা!

cnএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ ফখরুদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলায় একবছর আগে আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি থাকলেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলার বাদির পক্ষের লোকজন অভিযোগ করেছেন, আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে পাঠালেও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। এ অবস্থার কারনে বাদি ও তার পরিবার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামের প্রবাসী ফরিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে চাকুরী করছেন। তার অনুপস্থিতির সুযোগে প্রতিবেশি জাফর আলমের ছেলে ডুলাহাজারা ইউপির মেম্বার ফখরুদ্দিন নানাভাবে প্রবাসীর বাড়িতে যাতায়াত করে তার স্ত্রী খোরশেদা আক্তারের সাথে সর্ম্পক তৈরীর চেষ্টা করেন। এরই জের ধরে ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী সকালে মেম্বার ফখরুদ্দিন অর্তকিত বাড়িতে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী খোরশেদা আক্তারকে রুমে ঢুকিয়ে জোরপুর্বক ধষর্নের চেষ্টা করেন। ওইসময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ফখরুদ্দিনের হাতে থাকা ছুরির আঘাতে গাল কেটে যায় গৃহবধু খোরশেদা আক্তারের। এ ঘটনায় খোরশেদা আক্তারের বাবা কক্সবাজার সদর উপজেলার পুর্ব গোমাতলী গ্রামের মোজাম্মেল হক বাদি হয়ে ওইবছরের ২১মার্চ কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে একটি মামলা (নম্বর-৩৮৫) দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। ওইবছরের ৭ আগষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এসআই (বর্তমানে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় কর্মরত) মো.আবদুর রহিম আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত অভিযুক্ত আসামি ইউপি মেম্বার ফখরুদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।

মামলার বাদি মোজাম্মেল হক ও ভিকটিম তার মেয়ে খোরশেদা আক্তার অভিযোগ করেছেন, গ্রেফতারী পরোয়ানাার কপি আদালত চকরিয়া থানায় পাঠালেও পুলিশ অধ্যবদি অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পক্ষান্তরে অভিযুক্ত আসামি মেম্বার ফখরুদ্দিন বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদে দিব্যি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বাদি পক্ষের অভিযোগ, পুলিশের এ ধরণের নিস্কৃতার কারনে বর্তমানে তাঁরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। #

পাঠকের মতামত: