ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালী বহতলী লবণ মাঠে ডাকাত দলের লুটপাট: আহত-১০

cnসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি,

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী চিংড়িঘের খ্যাত বহলতলীর চিলখালী লবণ মাঠে দুদফে ডাকাত দলের হামলায় কম পক্ষে ১০ জন লবণ চাষী আহত হয়েছন। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার ও বুধবার দ্বিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার সময় ঘটে এ ঘটনা। ডাকাতের প্রহারে গুরুত্বর আহতরা হলেন, বর্ণিত ইউনিয়নের লবণ চাষী নুরুচ্ছফা (৫৫), আবুল হোছন (৬০) মোহাম্মদ মুছা (৩০)। অন্যান্যদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে এ ৩ জনকে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত মঙ্গলবার-বুধবার গভীর রাতে সশস্ত্র ৩০/৪০ জনের ডাকাত দল চিলখালী ঘেরের রমজান আলীর লবণ চাষীদের খামার বাসায় ডুকে লুটপাট চালায়। তাদেরকে বাধা দিলে ডাকাতরা চাষীদের ব্যাপক মারধর করেন। একপর্যায়ে ডাকাতরা বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে লোকজনকে ভীত সন্ত্রস্থ করে লবণ মাঠের পলিথিন, পানির পাম্প, মেশিন ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। চলে যাওয়ার সময় লবণ চাষীর দুটি খামার বাসায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় চাষীরা পালিয়ে জানে রক্ষা পেলেও ১০ টি খামার বাসা থেকে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে বলে জানান লবণ চাষী রহমত আলী, বেলাল, মোহাম্মদ ও নুরুচ্ছফা। স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রতি রাতে লবণ মাঠে ডাকাতদের উপদ্রুব আশংকাজনক ভাবে বেড়ে গেছে। লবণ চাষীরা জানিয়েছেন, ডাকাতদের অত্যচার লুটপাট মারধর অব্যাহত থাকলে এসব এলাকায় লবণ চাষ করা যাবেনা। তারা লবণ চাষীদের জান মাল রক্ষায় চকরিয়া থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

#########################

 খুটাখালী নাইফর ঘোনায় অবৈধ মাটিকাটা পুলিশী বাঁধায় পন্ড

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি,

অবৈধভাবে প্রায় ২৬৫ একরের চিংড়ি ঘের দখল করে মাটি কেটে জবর দখলের অপচেষ্টা অবশেষে পুলিশী বাধায় পন্ড হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে চকরিয়া থানা পুলিশের এসআই তানভির আহমদ, সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে দখলদারদের উচ্ছেদ করে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়। তবে পুলিশ চলে যাওয়ার পর দখলদারেরা পুনরায় মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি মৌজার নাইফর ঘোনা (বড় ঘোনা) নামক এলাকায়। উচ্ছেদের পরও ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। তারা অবৈধ ভাবে লিজ নিয়ে চিংড়ি ঘের দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নাইফর ঘোনার জমির মালিক স্থানীয় কামাল হোছনের পুত্র মো: রহিম উদ্দিন লিখিত চকরিয়া থানায় দায়েরকৃত এজাহারে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কাঠালিয়া পাড়ার মৃত আমীর সোলতানের পুত্র ডা. আবুল বশর সহ ৬০/৭০ জন অবৈধ অস্ত্রধারী বন্ধুক, দা, কিরিচ, লোহার রড, লাটি নিয়ে অবৈধভাবে নাইফর ঘোনার প্রায় ২৬৫ একর জমিতে স্কাবাটার গাড়ি দিয়া মাটি কেটে গভির ভাবে জলাশয় সৃষ্টি করেন। বিষয়টি অপরাপর জমির মালিকদের নজরে আসলে তারা দখলদারদের বাধা দেন। এক পর্যায়ে দখলদারেরা জমির মালিকদের অশ্লিল ভাষায় গালি গালাজ করে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দেন। যার কারণে প্রাণ ভয়ে তারা ঘের এলাকা থেকে পালিয়ে এসে চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। ঘের মালিকদের অভিযোগ, দখলদারেরা সন্ত্রাসী, জবরদখলদার ও অবৈধ অস্ত্রধারী হওয়ায় তারা থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে এজাহারের পরিপ্রেক্ষিতে চকরিয়া থানা পুলিশের এসআই তানভির আহমদ, এ এসআই জুয়েল, সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে নাইফর ঘোনা চিংড়ি ঘের থেকে অবৈধ দখলদারদের মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়।

পাঠকের মতামত: