ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জেলায় ৬ হাজার ৭৫৬ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করবে সরকার

riceএম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার :
প্রতিবছরের ন্যায় এবার আমন মৌসুমে কক্সবাজার জেলায় ৬ হাজার ৭৫৬ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে সরকার। প্রতি কেজি আতপ চাল ৩২ ও সিদ্ধ চাল ৩৩ টাকা করে মিল মালিকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয় পরিপত্র জারি করেছেন। যা বাস্তবায়ন করতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।

এ উপলক্ষ্যে ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মিল মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে কক্সবাজার জেলা খাদ্য সংরক্ষন কমিটি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার তাহসিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি আবদুর রহমান। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রতিবছর আমন ও বোরো মৌসুমে মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করে সরকার। যার অংশ হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে জেলার সকল মিল মালিকদের তালিকা করা হয়েছে। যাছাই-বাছাই শেষে চুড়ান্তভাবে চুক্তি করা হবে। তবে সভায় সরকারি নির্ধারিত চালের মূল্য নিয়ে দ্বি-মত পোষন করেন মিল মালিকরা।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার রামু উপজেলা থেকে ২ হাজার ৭৪৩, উখিয়া উপজেলা থেকে ১ হাজার ৯৯৭, টেকনাফ উপজেলা থেকে ৪০৭, চকরিয়া উপজেলা থেকে ৮৩৫, পেকুয়া উপজেলা থেকে ২৩০, মহেশখালী উপজেলা থেকে ২১ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হবে। গতবছরের তুলনায় এবছর লক্ষ্যমাত্রা আরো বেড়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ে যাছাই-বাছাই করে মান সম্মত আতপ ও সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করতে হবে। এই হিসেবে বর্তমান বাজারে সরকার নির্ধারিত আতপ চালের মূল্য ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। কিন্তু ৩২ ও ৩৩ টাকায় সরকারকে চাল বিক্রি করতে পারবেনা বলে মিল মালিকরা জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। মিল মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক জানান, আগামি বছরের ১০ মার্চ পর্যন্ত চাল সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে যাছাই-বাছাই করে দাম পূর্ননির্ধারন করা হবে। তবে যেসব মিলের লাইসেন্স বা অনুমোদন নাই তাদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করা হবেনা। উল্টো ঐসব মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লিংকরোডস্থ জনতা রাইচ মিলের কর্নধার নুরুল আকতার জানান, সরকার ভাল চাল চাইলে আমাদের দামও সেই অনুপাতে দিতে হবে। নচেৎ আমরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে চাল বিক্রি করতে পারবোনা। রামু রাইচ মিল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদ উল্লাহ জানান, জেলায় এবার প্রচুর ধানি চাল রয়েছে। কিন্তু প্রকারভেদে এসব চালের দাম নির্ধারন করা হয়। সরকার যে মূল্য নির্ধারন করেছে তা দিয়ে কখনো চাল বিক্রি সম্ভব নই। তবে জেলা প্রশাসক আমাদের আশ্বাস প্রদান করেছেন, তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করে আমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবেন।

পাঠকের মতামত: