ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

সৌদি আরবে বোরকা পরতে অস্বীকৃতি জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক :::ursula

সৌদি আরবে সরকারি সফরের সময় মুসলিম নারীদের জন্য প্রচলিত সেখানকার পোশাক ‘আবায়া’  (বোরকা) পরতে অস্বীকৃতি জানালেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তার আগে সৌদি আরব সফরে গিয়ে এ পোশাক পরেন নি যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা, সাবেক ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটন, লরা বুশ, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিসা রাইস। সর্বশেষ জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল তার দেশে বোরকা নিষিদ্ধ করার কথা বলার পর এ ধারা অনুসরণ করলেন তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়েছে ‘আবায়া’ এমন এক রকম কালো পোশাক যা পুরো শরীর ঢেকে রাখে। শুধু মুখমন্ডল থাকে অনাবৃত। উরসুলার সৌদি আরব সফরের আগে রিয়াদে অবস্থিত জার্মান দূতাবাসে ‘আবায়া’ সরবরাহ দেয়া হয়েছিল। জার্মানিতে ক্ষমতাসীন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের রাজনীতিক উরসুলা। তার দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সৌদি আরবের ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আল সাউদের সঙ্গে তার বৈঠক ছিল। সে জন্য সৌদি আরবে যান তিনি। ‘আবায়া’ সম্পর্কে তিনি বলেন, অবশ্যই আমি একটি দেশের রীতি ও পোশাক সম্মান করি। আমি এমন নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু ওই দেশটির রীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার ক্ষেত্রে আমার সীমাবদ্ধতা আছে। আমি হেডস্কার্ফ পরি না। আমি পরি ট্রাইজার। আমার প্রতিনিধি দলে যেসব নারী ছিলেন তাদের কেউই ‘আবায়া’ পরেন নি। নারী ও পুরুষের সবার ক্ষেত্রেই নিজের পোশাক পছন্দ করে নেয়ার সমান অধিকার আছে। যদি সফরে গেলে নারীদের ‘আবায়া’ পরতে চাপ দেয়া হয় তাহলে তাতে আমি ক্ষুব্ধ হই। উল্লেখ্য, উরসুলা লিয়েনকে সৌদি আরব সফরের সময় দেখা গেছে গাঢ় নীল স্যুট পরা। তার মাথার স্বর্ণালী চুল পিছন দিকে উড়ছিল। তবে ‘আবায়া’ না পরার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন তা নিয়ে টুইটারে সমালোচনা হচ্ছে। ইরাকের ফার্মাসিস্ট হুসাম আল মুসাবি টুইট করে বলেছেন, উরসুলা লিয়েনের সিদ্ধান্তে সৌদি আরবের অবমাননা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: