ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ: আহত ১৫

cuচবি সংবাদদাতা:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সুজনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ১৫ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ সিনহা, ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মিথিল, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ আহমেদ, আন্তর্জাতিক বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন, লোকপ্রশাসন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেব, সাইদ ও ইকবাল।

এদের মধ্যে সৌরভ, তৌহিদ ও শেখ আহমেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চবি চিকিৎসাকেন্দ্রে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শুভ।

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশন চত্বরে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে তা শাহ আমানত ও শাহ জালাল হলে ছড়িয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের সিটে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অংশগ্রহণকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের সভাপতি অনুসারী আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারী হিসেবে ক্যম্পাসে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের খবর জড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নিয়ে আবারো সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে সাধারণ সম্পাদক সুজনের ১৫ জন অনুসারী আহত হয় বলে জানা যায়। পরবর্তীতে তাদের চবি মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হলে গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি।

এ সময় উভয় গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে রামদা, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে। পরে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ টিয়ালশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় গ্রুপের প্রায় ১০ জন আহত হয়। রাত সাড়ে ১১ টায় উভয় গ্রুপকে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

চবি ছাত্রলীগকে সাবধান করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, বারবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে চবি শাখা ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিবার্তাকে বলেন, আপনাকে পরে ফোন করছি। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। আর কোনো কিছু এখন বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: