ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন

1111খবর বিজ্ঞপ্তি :::

বাঁকখালী প্রকল্পে দখলদারদের উচ্ছেদকরণ, দুষণরোধ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্যারাবন রক্ষার অন্তভূক্তির দাবীতে বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে ৫ ডিসেম্বর সকালে শহরতলীর গোদার পাড়া এলাকায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। পরিব্রাজক দলের সভাপতি এডভোকেট আবুহেনা মোস্তফা কামাল’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সাংবাদিক কোষ প্রণেতা, কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস) সভাপতি নদী পরিব্রাজক দলেরর ভাইস প্রেসিডেন্ট আজাদ মনসুর। সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল আলম কায়সার’র সঞ্চালনা ও পরিব্রাজক দলের সদস্য হাফেজ দেলোয়ার হোসেন’র কুরআন তেলাওয়াত’র মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছালামত উল্লাহ বাবুল, মুক্তিযুদ্ধা খোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক আপন কন্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও নদী পরিব্রাজক দলের জেলা কমিটির সহ সভাপতি যুবনেতা সাহাব উদ্দিন সিকদার, স্থানীয় আলীর জাঁহাল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সদস্য নুর কাদের মুন্নাসহ অনেকে। বক্তরা বলেছেন, কক্সবাজার জেলার বাঁকখালী নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন, সেচ ও ড্রেজিং প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রথম পর্যায়ের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার শহরের নাজিরটেকের বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে রামুর কাউয়ারখোপ পর্যন্ত সাড়ে ২৮ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং করা হবে। নদীর একপাশে ১৮ কিলোমিটার এবং অন্যপাশে ২০ কিলোমিটার বাঁধ তৈরি করা হবে। বাঁকখালীর নদীর ১.০৮ কিলোমিটার এলাকার নদী শাসন কিংবা ভাঙন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য ৮টি স্লুইস গেট নতুন করে নির্মাণ করা হবে। স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকায় ১২ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। যেসব স্থানে নদী শাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয় সেখানে ৮০০ মিটার ফ্লাট ওয়াল নির্মিত হবে। কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী কক্সবাজারবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞা জানান । কিন্তু দুঃখের বিষয় এই প্রকল্পে কিছু অসাধু নদী দস্যুদের ষড়যন্ত্রের কারণে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় বাদ পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারন মানুষ। বিশেষ করে দখলদার উচ্ছেদ, দুষণরোধ, জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, প্যারাবন রক্ষাসহ নদী পাড়ের মানুষদের দুষণরোধে সচেতন করার জন্য কোন বরাদ্দ রাখা হয়নি। ঢাকার একটি অনুষ্টানে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান নদী দখলদারদের নব্য রাজাকার আখ্যাদিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিলেও এ পর্যন্ত বাঁকখালীর ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরিবেশ সংগঠন বেলার বাকঁখালী নদী দখলদার উচ্ছেদ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করলেও এখনও কার্যকর করা হয়নি। প্রয়োজনে নদী পাড়ের মানুষদের সম্পৃক্ত করে তাদের সচেতনতা বাড়িয়ে নদী দুষণরোধে কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন। যদি জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নদী পাড়ের মানুষদের সচেতনতার জন্য আলাদা ট্রান্সফোর্স গঠন করা হয় তাহলে নদী দুষণমুক্ত করা কিছুটা হলে কমে আসবে। বাঁখখালী ঘেঁষে প্যারাবনকে সংরক্ষণ করে সুন্দরবন আদলে কক্সবাজারের মিনি সুন্দরবন হিসেবে গড়ে তুলা সম্ভব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নদী ভিত্তিক পর্যটন গড়ে উঠেছে। একদিকে কক্সবাজার পর্যটন রাজধানী সে অর্থে দীর্ঘ ১০৮ কি.কি. বাঁকখালী নদীকে নদী ভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র করে জাতীয় রাজস্ব খাতে হাজার কোটি আয় করা সম্ভব।

পাঠকের মতামত: