টেকনাফ প্রতিনিধি ::::
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নাফনদী ও সাগরে আলাদা অভিযান চালিয়ে ইয়াবার বড় চালানসহ ১৫ জন মাঝিমাল্লাকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড ও বিজিবির সদস্যরা। এসময় দুইটি ট্রলারসহ ২ লাখ ২১ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার ভোরে টেকনাফের নাইট্যং পাড়া সংলগ্ন নাফ নদী ও সেন্টমার্টিনের ছেড়াদিয়া সংলগ্ন সাগর থেকে এসব ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়।
এ প্রসঙ্গে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাফিউর রহমান জানান, মিয়ানমারের থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে ঢুকার গোপন সংবাদ পেয়ে শুক্রবার ভোরে সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপ এলাকায় আমিসহ কোস্ট গার্ডের একটি বিশেষ টিম অবস্থান করি। পরে ওই দ্বীপ এলাকায় সন্দেহজনক দুটি ট্রলার থামানো সংকেত দেয়া হয়। তারা সংকেত অমান্য করে পালানো চেষ্টা করলে ধাওয়া করে ট্রলার দুইটি আটক করা হয়। ট্রলারে তল্লাশি করে পানির ট্যাংকির ভেতর থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। এসময় ট্রলাগুলোতে থাকা ইয়াবা পাচারকারি ১৫ মাঝিমাল্লাকে আটক করা হয়। তাঁরা হলো-টেকনাফের সাবরাংয়ের মুন্ডাল ডেইল সিরাজ মিয়া (৪৫), সদরের মহেষখালিয়াপাড়ার মোহাম্মদ ইউনুছ (৪৩), চকরিয়ার ডুলাহাজারার আবদুল মালেক (২৫), রশিদ আহমদ (৩০), কক্সবাজার কুতুবদিয়াপাড়ার নজু মিয়া (২৬), মোহাম্মদ ইসলাম (২৮), মোহাম্মদ হোসেন (২৭), নুরু সালাম (৩৬), শফি আলম (২৪), কেফায়েত উল্লাহ (২৪), উখিয়ার কুতুপালংয়ের হাবিবুর রহমান (২৮), মো. ইসলাম (৪৭), ইউনুছ আলী (২৪), রশিদ আহমদ (৩৯) ও আব্দুল মজিদ (৩৪)।
লেফটেন্যান্ট নাফিউর রহমান আরও জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তারা সাগরে মাছ ধরার বেস ধরে নৌ-পথে ইয়াবা পাচার করে আসছিল। ইয়াবা ও আটক ব্যাক্তিদের থানায় সোর্পদ করে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আটক ট্রলার দুইটি টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা দেয়া হয়।
অন্যদিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, একই দিন ভোরে ইয়াবা পাচারের খবরে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়া এবং সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া সংলগ্ন নাফনদীর তীরে বিজিবির একটি দল আলাদা অভিযান চালিয়ে ৭০ হাজার পিস ইয়াবাবড়ি উদ্ধার করে। তবে এসময় কাউকে আটক করতে পারেনি। উদ্ধার ইয়াবাগুলো ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে জমা রাখা হয়েছে, যা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সামনে ধ্বংস করা হবে বলে জানান বিজিবির ওই কর্মকর্তা।
পাঠকের মতামত: