ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

টাউট-বাটপারদের কমিউনিটি পুলিশে রাখা যাবে না: আইজিপি

005_253108চট্রগ্রাম প্রতিনিধি :::

দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে সেবা দেয়ার জন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করে কমিউনিটি পুলিশিং চালু করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক।

তিনি বলেছেন, ‘ভাল কাজ করতে হলে ভাল লোক দরকার। সমাজে যাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই, টাউট-বাটপার, পুলিশের দালাল, থানায় গিয়ে যারা দালালি করে তাদের কমিউনিটি পুলিশে যুক্ত করলে ভাল কাজ পাওয়া যাবে না। তাই  বিতর্কিত, টাউট, চোরাচালানি, মাদক ব্যবসায়ীদের কমিউনিটি পুলিশের সদস্য করা যাবে না। রাজনীতিবিদদের মধ্যে যারা ভাল লোক তাদের অবশ্যই কমিউনিটি পুলিশে রাখতে হবে।’

বৃহস্পতিবার নগরীর লালদীঘি ময়দানে চট্টগ্রাম মহানগর কমিউনিটি পুলিশ সমাবেশ-২০১৬ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভার উদ্বোধন করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজ শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুর আলম মিনা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর কমিউনিটি পুলিশের সমন্বয়কারী, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য।

আইজিপি আরো বলেন, ‘দেশে ২০০ লোকের জন্য একজন পুলিশ সেখানে কমিউনিটি পুলিশিং অত্যন্ত ভালভাবে কাজ করে। আমাদের দেশে ১ হাজার লোকের জন্য একজন পুলিশ কাজ করে। ভারতে ৬৫০ জন লোকের জন্য একজন পুলিশ কাজ করে। কমিউনিটি পুলিশিং জনগণের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে।’

কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে একেএম শহীদুল হক বলেন, ‘মাদক একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এলাকায় এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সাময়িক আনন্দে বিভোর হওয়া ধনী পরিবারের আধুনিকতা ও হতাশা ছেলেদের মাদক সর্ম্পকে সচেতন করতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের শনাক্ত করে মাদক ব্যবসা বন্ধে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।  কমিউনিটি পুলিশকে মাদক বন্ধে দায়িত্ব নিতে হবে। বাল্যবিয়ে, ইভটিজিংসহ সামাজিক অপরাধ বন্ধে গণজাগরণ সৃষ্টিতে তাদের কাজ করতে হবে।’

সমাবেশের উদ্বোধক মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশের কোনো সদস্য কাউকে হুমকি দেবেন না।  এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে সুনাম ক্ষুন্ন হয়।  অপরাধ করার চেষ্টা করবেন না। পোশাকের মর্যাদা রাখবেন।’

সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগরে মাদক ব্যবসা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য চার নারীকে সেলাই মেশিন ও চার জন পুরুষকে রিকশা ভ্যান পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশকে সাহায্য করার জন্য তিন জনকে সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠান শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। পরে সিএমপির সাংস্কৃতিক স্কোয়াড ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ শীর্ষক থিম সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

সমাবশে নগরীর ১৬ থানা থেকে মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ উপস্থিত হন। এর আগে সকাল ১০টা থেকে হাতি, ঢোলবাদ্য বাজিয়ে মিছিল নিয়ে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা লালদীঘি ময়দানে আসেন।

 

পাঠকের মতামত: