ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থীর তীব্র প্রতিযোগিতা

10-700x169কক্সবাজার প্রতিনিধি :::

আগামি ডিসেম্বরেই কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলাব্যাপী চাঙ্গা হয়ে উঠেছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ প্রাণ খ্যাত যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধীক প্রার্থী তৎপর হয়ে উঠেছেন। তবে একাধীক যোগ্য প্রার্থী সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দীতা করায় তৃণমুল নেতাকর্মীদের কদর বেড়েছে।
কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলাব্যাপী চাঙ্গা হয়ে উঠেছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় কাউন্সিলর তালিকাও চুড়ান্ত করে কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে জমা হয়েছে। যার সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের ধারে ধারে ঘুরছেন সমর্থন পেতে। বিগত সময়ে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব। এবারও কাউন্সিলরাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করতে চান। যার ফলে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৃণমুল নেতাকর্মী মূখী হয়ে পড়েছেন।
ইতোমধ্যে সভাপতি পদে শহীদুল হক সোহেল ও সোহেল আহমদ বাহাদুর প্রচারণায় এগিয়ে আছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ইখতিকার উদ্দিন পুতু, মাসুকুর রহমান বাবু ও শোয়েব ইখতেকার এগিয়ে আছেন। একই সাথে আশরাফ উদ্দিন আহমদ ও ডালিম বড়ুয়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসাবে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইখতিকার উদ্দিন পুতু কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসাবে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। এ ছাড়াও দলের জন্য অনেক ত্যাগ শিকারের দৃষ্ঠান্ত রয়েছে এই যুবনেতার। একই ভাবে পিছিয়ে নেই মাসুকুর রহমান বাবু। তিনি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমাহন মাবু’র ছোট ভাই। যুব সমাজের কাছে তারা রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। নেতাকর্মীদের আরেক প্রিয় প্রার্থী শোয়েব ইফতেকার। তিনি শহর যুবলীগের আহবায়ক হিসাবে ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন। তাকেও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেখতে চায় অসংখ্য নেতাকর্মী।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আশরাফ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের সাথে জাড়িত আছি। আশাকরি কাউন্সিলররা যথাযত মুল্যায়ন করবে।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইফতেখার উদ্দিন পুতু বলেন, আমি জাতির জনকের আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলেছি। দুঃসময়ে দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম ও থাকব। নেতাকর্মীদের অনুরোধে আমিও প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচিত হলে বিগত সময়ে যুবলীগকে যেভাবে সাঁজিয়েছি ঠিক একইভাবে জেলা যুবলীগকেও একটি পরিচ্ছন্ন সংগঠনে পরিণত করতে চাই। আমার প্রধান দাবী কাউন্সিলরদের ভোটে যাতে নেতা নির্বাচিত হয়।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পৌর যুবলীগের আহবায়ক শোয়েব ইফতেকার বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে যুবলীগের সাথে জড়িত আছি। নেতাকর্মীদের ভালসায় বার-বার এগিয়ে গেছি। যুবলীগের বিগত সময়ের ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে কাউন্সিলরদের ভোটে নেতা নির্বাচন হবে এমন প্রত্যাশা করি। সাধারন নেতাকর্মীরাও কাউন্সিলরদের ভোটে নেতা নির্বাচন করতে চায়। যুবলীগের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনকে একটি মেধাবী সংগঠনে পরিণত করতে চাই।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাসুকুর রহমান বাবু জানান, নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচনের বিকল্প নেই। যুবলীগের জন্য আমার অনেক ত্যাগ তিথিক্ষ্যা রয়েছে। কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দলের দায়িত্ব নিতে চাই। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগকে যেভাবে নবীণ প্রবীণের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে যুবলীগককেও একই ভাবে এগিয়ে নিতে চাই। কক্সবাজার যুবলীগকে একটি শ্রেষ্ট সংগঠনে পরিণত করতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি। জাতির জনকের আদর্শকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে চাই।
যুবলীগের একজন নেতা জানিয়েছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে একাধীক যোগ্য প্রার্থী থাকায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন নেতাকর্মীরা। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইফতেকার উদ্দিন পুতু, শোয়েব ইফতেকার, মাসুকুর রহমান মাবু ও আশরাফ উদ্দিন আহমদ এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তৃণমুলে। তাদের যুব রাজনীতির আদর্শ বলে মনে করেন অনেক নেতাকর্মী। তাই কাউন্সিলরদের ভোটেই নেতা নির্বাচন হউক সেটাই চায় নেতাকর্মীরা।

পাঠকের মতামত: