ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের কক্সবাজারে মনোনয়ন পেলেন মোস্তাক

অনলাইন ডেস্ক :mostak
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬১ জেলার প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড। শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রার্থী মনোনয়নে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আয়োজিত মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় এসব প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুস সুবহান গোলাপ।
ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্য থেকে কক্সবাজার থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক সাংসদ মোস্তাক আহমদ চৌধুরী।
আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সুবহান গোলাপ বলেন, “জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ঠিক করতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
“ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে সভা শেষ না হলে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা মুলতবি করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই সভা পুনরায় বসে রাত পৌনে ৯টায় শেষ হয়।”
এর মধ্যে দলের মনোনয়ন বোর্ড ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে বলে জানান আব্দুস সোবহান গোলাপ।
সভায় বোর্ড সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, দীপু মনিসহ বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় হবে জেলা পরিষদ নির্বাচন ।  ৬১টি জেলার এই নির্বাচনে অংশ নিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে ইচ্ছুক প্রায় ৭০০ প্রার্থী ফরম জমা দিয়েছিলেন।
আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন।
স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।
২৫ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনো ভোটার জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে তিনি নিজে একজন জনপ্রতিনিধি হলে পদে থেকে প্রার্থী হওয়া যাবে না।
১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। আর কোনো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়নি।
১৯৮৮ সালে এইচ এম এরশাদের সরকার প্রণীত স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেওয়ার বিধান ছিল; পড়ে আইনটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠনের জন্য নতুন আইন করে।
এরপর ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকার ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অনির্বাচিত এই প্রশাসকদের মেয়াদ শেষেই ডিসেম্বরে নির্বাচন হচ্ছে।
ঘোষিত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, কক্সবাজারে মোশতাক আহমেদ, চট্টগ্রামে আবদুস সালাম, নোয়াখালীতে জাফরুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এমদাদুল বারী, লক্ষীপুরে শামসুল ইসলাম, কুমিল্লায় আবু তাহের, ফেনীতে আজিজ আহমেদ চৌধুরী, চাঁদপুরে আবু ওসমান চৌধুরী, হবিগঞ্জে ড. মুশফিক হোসেন চৌধুরী ও সিলেটে লুৎফুর রহমান, পঞ্চগড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কৌরাইশী, নীলফামারীতে মমতাজ উদ্দিন, কুড়িগ্রামে জাফর আলী, গাইবান্ধায় শামসুল আলম, লালমনিরহাটে মতিয়ার রহমান, দিনাজপুরে আজিজুল ইসলাম চৌধুরী, রংপুরে সাফিয়া খানম, পাবনায় রেজাউল রহিম লাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাইনুদ্দিন ম-ল, বগুড়ায় মকবুল হোসেন, নাটোরে সাজেদুর রহমান খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান, রাজশাহীতে মাহবুব জামান, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বী, সিরাজগঞ্জে আবদুল লতিফ বিশ্বাস, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান, যশোরে শাহ হাদি উজ জামান, কুষ্টিয়ায় রবিউল ইসলাম, সাতক্ষীরায় মনসুর আহমেদ, মেহেরপুরে মিয়া জান আলী, চুয়াডাঙায় মাহফুজুর রহমান, খুলনায় হারুনুর রশীদ, নড়াইলে আইয়ুব আলী, মাগুড়ায় পঙ্কজ কুমার, ঝিনাইদহে কনক কান্তি, বরগুনায় দেলোয়ার হোসেন, বরিশালে আলতাফ হোসেন, পিরোজপুরে শাহে আলম, ভোলায় আবদুল মোমিন টুলু, পটুয়াখালীতে মোশাররফ হোসেন, ঝালকাঠিতে শাহ আলম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহিকে প্রার্থী করা হয়েছে।
পাশাপাশি ঢাকায় মাহবুবুর রহমান, মুন্সিগঞ্জে মহিউদ্দিন আহমেদ, গাজীপুরে আক্তারুজ্জামান, নরসিংদীতে আসাদুর রহমান, ফরিদপুরে লোকমান মৃধা, রাজবাড়িতে আবদুল জব্বার, শরিয়তপুরে সাজেদুর রহমান, নারায়ণগঞ্জে আনোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহে ইউসূফ খান পাঠান, শেরপুরে চন্দন কুমার, জামালপুরে এইচ আর জাহিদ, নেত্রকোণায় প্রশান্ত, মৌলভীবাজারে আজিজুর রহমান, সুনামগঞ্জে এনামুল কবীর ইমন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন।
এদিকে, ওবায়দুল কাদের জানান, জেলা পরিষদ সদস্যদের সমর্থন দেবে সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা। স্থানীয় পর্যায়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

পাঠকের মতামত: