ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়েও শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতির সাথে আছি’

boshorবিশেষ সংবাদদাতা:

জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়েও শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতির সাথে থাকবেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী।

তিনি বলেন, একটি কুচক্রিমহল আমার জনপ্রিয়তা ও ৪০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ করতে ওঠে পড়ে লেগেছে। তারা নানামুখি ফন্দি ফিকির করছে। ইতিমধ্যে ওই মহলটি একটি অনলাইন পত্রিকায় ‘আওয়ামীলীগে যোগদানের অপেক্ষা কক্সবাজার বিএনপির একাধিক নেতা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।

ওই সংবাদে আমি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউল্লাহ বোখারীসহ আরো কয়েকজন জেলা উপজেলা বিএনপির নেতা যে কোন সময় আওয়ামীলীগের যোগদান করতে পারে বলে ‘বিএনপির একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে’ বলা হয়েছে। কোন সুত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে এমন ভূয়া তথ্য সরবরাহ করেছে তা প্রকাশ করা হোক। আমি বিএনপির রাজনীতিতে আছি, থাকব। শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও সালাহ উদ্দিন আহমদের হাত ধরে এগিয়ে চলা বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। জীবনের শেষ পর্যন্ত শহীদ জিয়ার রাজনীতিতেই থাকব। তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী বলেন, আমি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এ.এফ.রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করি। এরপরে কুতুবদিয়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং জেলা বিএনপির দুইবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।

তিনি আরো বলেন, জগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে একটানা ২৫ বছর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। আমি মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য ছিলাম। ২০০৯ সালে উপজেলা বিএনপির প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন নির্বাচিত হই। ২০১৪ সালেও পূনঃবার ভোট দিয়ে জনগণ আমাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। কুতুবদিয়ার মতো একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বিএনপির রাজনীতিতে শক্তিশালী ভিক্তিতে প্রতিষ্ঠিত করেছি। আমার ছোট ভাই ফিরোজ খান চৌধুরীও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আমার পুরো পরিবার জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

নুরুল বশর চৌধুরী আরো বলেন, আমি জীবনে বিএনপির রাজনীতির বিকল্প কিছু চিন্তাও করিনি। বিএনপির রাজনীতি করি বলে মিথ্যা-হয়রানীমূলক মামলায় কারাবরণ করতে হয়েছে আমাকে। শুধু বিএনপি করার অপরাধে মিথ্যা মামলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ার‌্যমান পদ থেকে দুই বার ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করা হয়। দীর্ঘ ৯ মাস চেয়ারের বাইরে ছিলাম। পরে উচ্চ আদালতের রায়ে আবার দায়িত্ব গ্রহণ করি। পরবর্তীতে আরো অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। ২০১৪ সালের আবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ৭/৮টি মামলার আসামী করা হয়। এ মামলায় কারাগারেও যেতে হয় আমাকে। সরকারের মিথ্যা মামলা ও রোষানলে পড়ে এখনো ‘সাসপেনশনে’ আছি। জেলার প্রাণপুরুষ সালাহ উদ্দিন নিখোঁজ থাকাকলে তাকে ফেরত চেয়ে আন্দোলনে আমার অগ্রনী ভূমিকা ছিল।

তিনি বলেন, আলমগীর ফরিদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি শ্রেনী আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আল্লাহ সহায় হলে কেউ আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবেনা। আমি শহীদ জিয়ার রহমানের আদর্শের সৈনিক। যত দিন বেঁচে থাকি, শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতিতেই জড়িত থাকব। জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে শহীদ জিয়ার আদর্শ, খালেদা জিয়ার নির্দেশ এবং কক্সবাজারের অবিসংবাদিত নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের নির্দেশ মেনে চলব। দলের সাথে বেঈমানি করবনা।

নুরুল বশর চৌধুরী নিজেকে প্রবীন রাজনীতিবিদ, নির্ভীক চরিত্রবান মানুষ উল্লেখ করে বলেন, একটি কুবক্রিমহল আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বসং করতে চাচ্ছে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবেনা। আমার পরিবার নির্যাতিত পরিবার। ২০০৬ সাল থেকে চলমান দশ বছরে আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা হয়েছে। দুই ভাই অসংখ্যবার হাজতবাস করেছি। এখনো বিভিন্নভাবে হয়রানীর শিকার।

সংবাদে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আমি যোগদান নিয়ে প্রশ্ন তুলা হয়েছে। যদিওবা এটি সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।

শোক দিবস একটি রাষ্ট্রীয় দিবস। দিবসটি পালন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। তাছাড়া এ দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলাকার বাইরে ছিলেন। দিবসটি পালনে উপজেলা প্রশাসনের অয়োজিত কর্মসুচিতে পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছিমাত্র। তাতে এত অপরাধ কিসের? অপ্রাসঙ্গিক একটি বিষয় রাজনীতিতে টেনে নিয়ে সুবিধা হাসিল করতে চাচ্ছে একটি দুষ্ট চক্র।

বিশেষমহলের চক্রান্তে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।

পাঠকের মতামত: