ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

লামায় এসএসসি পাস হয়ে সার্টিফিকেট জালিয়াতি বি এ পাশ দেখিয়ে শিক্ষকতা

jal-cerমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা প্রতিনিধি ঃ

এসএসসি পাস হয়ে নিজেকে বিএ পাস দাবি করে জালিয়াতির মাধ্যমে ‘বাউবি’ শিক্ষকতা করার ও বেতন-ভাতা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (চারু ও কারুকলা) অবিনাশ চন্দ্র শীল এর বিরুদ্ধে। লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক স্মারক নং-লাসউবি/২৭৮/২০১৬, তারিখ- ২৯ অক্টোবর ২০১৬ইং কারণ দর্শানোর নোটিশ ও অবিনাশ চন্দ্র শীল এর ২ নভেম্বর ২০১৬ এর জবাব প্রদান চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বাউবি’র স্মারক নং- রি:রি:সে:/চ/৫(১৫)/এসএসসি টিউটর নিয়োগ/২০১২/১০৩১৭ তারিখ- ০৬.০৫.১৪ এর প্রেরিত চিঠির মাধ্যমে অবিনাশ চন্দ্র শীলকে টিউটর নিয়োগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, অবিনাশ চন্দ্র শীল লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের চারু ও কারুকলা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। বিদ্যালয়ে পরিচালিত বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এসএসসি প্রোগ্রামের জন্য ৮ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। নিয়োগকৃত শিক্ষকের নুন্যতম যোগ্যতা ¯œাতক পাশ চাওয়া হয়। অবিনাশ চন্দ্র শীল প্রকৃতপক্ষে একজন এসএসসি পাস শিক্ষক। তিনি ৩০ বছর যাবৎ লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকুরী করে আসছেন। সেখানে লোভের বশবর্তী হয়ে নিজেকে বিএ পাস দাবি করে বাউবি’র এসএসসি প্রোগ্রাম ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের (২০১৩ ব্যাচ) টিউটর হিসেবে যোগদান করে টিউটোরিয়াল ক্লাস পরিচালনা করেন। ক্লাস পরিচালনা করে নিয়মিত বেতন ভাতাও গ্রহণ করেন।

এবিষয়ে চারু ও কারুকলা সহকারী শিক্ষক অবিনাশ চন্দ্র শীল বলেন, আমি বাউবি’তে টিউটর হিসেবে কাজ করেছি এবং ভাতা নিয়েছি সত্য। আপনি বিএ পাস কিনা এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা নিয়োগ দিয়েছে তারা ভাল জানে।

লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোক্তার উদ্দিন বলেন, অবিনাশ চন্দ্র শীল আমার বিদ্যালয়ের চারু ও কারুকলা সহকারী শিক্ষক। তিনি ৩০ বছর যাবৎ এই বিদ্যালয়ে আছেন। তিনি এসএসসি পাস। বাউবি’তে মিথ্যা তথ্য দেয়ার বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি এইচ.এস.সি ও বিএ এর কোন সার্টিফিকেট দেখাতে পারেনি।

পাঠকের মতামত: