ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রেললাইনের জমি অধিগ্রহন দ্রুত সম্পন্ন হবে -রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব

কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজার-ঘুনদুম রেল প্রকল্প পরির্দশন করেছেন রেল সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন। তিনি গতকাল বেলা ১১টায় রেল মন্ত্রণালয়, ভুমি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। আগামি মার্চে শুরু হতে যাওয়া এ প্রকল্প খুব দ্রুত সময়েই বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের চলতি দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলায় ৩১টি মৌজা থেকে ৮৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহনের জন্য ৩ ধারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুততার সাথে জমি অধিগ্রহন কার্যক্রম চুড়ান্ত করা হবে। এটি সরকারের অগ্রাধীকার প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম। রেল লাইন নির্মিত হবে চকরিয়া, রামু ও কক্সবাজার সদরে। এ জন্য ৩টি এল.এ ভাগ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, কক্সবাজার জেলায় রেল লাইন নির্মিত হবে ৭২ কিলোমিটার।
কক্সবাজারের সাথে রেল যোগাযোগ পর্যটন শিল্পে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন বিভিন্ন পেশার লোকজন। কক্সবাজার সিটি কলেজের প্রভাষক আবুল হাসেম জানিয়েছেন, এটি কক্সবাজারের জন্য অত্যন্ত সু-খবর। কক্সবাজারের সাথে রেল যোগাযোগ বিগত সময়ে কল্পনার বাইরে হলেও বর্তমান এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছেন। অতি শীঘ্রই মানুষের প্রত্যাশা পুরণ করতে যাচ্ছে সরকার। বিগত সময়ের কল্পনা এখন বাস্তবে রুপ নিচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আওলাদ হোসেন সাগর জানান, রেল লাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প আরো চাঙ্গা হয়ে উঠবে। এ প্রকল্পটি আরো আগে বাস্তবায়ন বলে কক্সবাজার অনেক এগিয়ে যেত। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হলে মানুষের আগ্রহ বাড়ে। রেল লাইন প্রকল্প পর্যটন শিল্পের জন্য আশির্বাদ হয়ে আসছে।
কক্সবাজার- ২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক জানিয়েছেন, রেল লাইন প্রকল্প টি কক্সবাজারের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী যে মহাপরিকল্পনা গ্রহন করেছেন তার একটি অংশ। কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিকাশে এ প্রকল্পটি অগ্রাধীকার প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। দেশের উন্নয়ন করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় এডিবির অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ১৮ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের বিজিবি ক্যাম্পস্থ স্থানে  এই রেল লাইন প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছিলেন।

পাঠকের মতামত: