ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

লাখো জনতার সমাবেশ ঘটাবে বিএনপি

ctgচট্টগ্রাম অফিস :::

অনুমতি সাপেক্ষে নগরীর ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দান কিংবা মুসলিম হল ও শহীদ মিনার চত্বরে লাখো জনতার সমাবেশ ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বিএনপি। ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও গণসংহতি দিবস উপলক্ষে আগামীকাল রবিবার এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে দলের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের উদ্যোগ নিলেও চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো এতে অংশ নেবে। তবে এতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন মহাজোটের কোন শরীক দলের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না। এককভাবে বিএনপিই এই সমাবেশ করবে বলে জানা গেছে।

এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নতুন নেতৃত্ব দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই হবে তাদের বড় ধরনের কোন আয়োজন। তাই সাত নভেম্বরের আয়োজনকে মহানগর নেতৃবৃন্দ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তা সফল করার নানামাত্রিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে নগরীর ৪১ ওয়ার্ড ও ১৫ থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছেন নগর নেতারা। পাশাপাশি উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সাথে সমাবেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে নগর বিএনপি সূত্রে জানা যায়।

সূত্র জানায়, বিএনপিকে পুলিশ প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে বড় আকারের কোন সভা-সমাবেশ বা শো-ডাউন করতে দিচ্ছে না। তাই সাত নভেম্বরের সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম হবে এবং এখান থেকেই পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন নেতারা। সমাবশের জন্য লালদিঘী মাঠ ও মুসলিম হল ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে গত ১ নভেম্বর সংগঠনের পক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে গতকাল শনিবার পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক অনুমতি মিলেনি বলে জানান নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘কোন উন্মুক্ত স্থানে  আমরা সমাবেশের জন্য অনুমতি দিচ্ছি না। বিএনপি লালদিঘীর মাঠ এবং কাজীর দেউড়ি চত্বর ব্যবহারের অনুমতি চাইলেও আমরা নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত অনুমতি দিচ্ছি না।’

মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া না দেওয়া প্রসঙ্গে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। গণতান্ত্রিক নিয়মেই আমাদের সভা-সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। লালদিঘী মাঠে যদি জাতীয় পার্টি, এলডিপি, ইসলামী ফ্রণ্ট এবং অস্তিত্বহীন আরো অনেক দল সমাবেশ করতে পারে, আমাদের জন্য বাধা কোথায়? আসলে বিএনপির আয়োজনে কোন জনসমাবেশ যখন জনসমুদ্রে রূপ নেয়, তখন সরকারের ভীত কেঁপে ওঠে। তাই আমাদের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিতে তারা ভয় পায়।’

পাঠকের মতামত: