ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

অবৈধ বিলবোর্ডে ছেয়ে যাচ্ছে পর্যটন শহর

wwwনুরুল আমিন হেলালী, কক্সবাজার ::

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে উঁচু পাহাড় ও হোটেল লবিতে দাঁড়িয়ে আশ-পাশে তাকালে ছোট-বড় বিলবোর্ড় আর সাইন বোর্ডে আটকে যাবে দৃষ্টি। সৃষ্টি কর্তার অপরুপ সৌন্দর্য্যরে লীলা সবুজ পাহাড় আর পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকতের মনোরম দৃশ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে এলোপাতাড়ি ভাবে লাগানো বিলবোর্ডের ফাকে উঁকি দিয়ে। শহরের প্রধান সড়ক,হোটেল-মোটেল এলাকা,হলিডে মোড় থেকে লাবনী পয়েন্ট,কলাতলী মোড়,বাস টার্মিনাল,মেরিন ড্রাইভ সড়কের আশ-পাশসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলো ঢাকা পড়েছে বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ডে। পৌর কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেন কিছু কিছু সাইন বোর্ড় অনুমোদিত হলেও অধিকাংশ বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ডের অনুমোদন নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে,কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল থেকে বাইপাস সড়ক দিয়ে কলাতলী পর্যন্ত পাহাড়ী ঢালু জমিতে,সরকারী খাস জমিতে,বহুতল ভবনের ছাদে এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন খালি জমিতে ছেয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড। অধিকাংশ বিলবোর্ডের আকার মাপ নীতিমালার চেয়ে অনেক বেশী। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বিলবোর্ড ব্যবসায়ীরা যে কয়টি অনুমোদন নেন তার চেয়ে কয়েকগুন বিলবোর্ড তারা স্থাপন করেন। ঢাকা-চট্রগ্রাম সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নগরে অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদে অভিযান চললেও পর্যটন নগরী কক্সবাজারে তা নিয়মিত থাকায় নিরাপদেই বিলবোর্ড ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ বিলবোর্ড ব্যবসায়ীরা। নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী বদিউল আলম বলেন, শুধু যে অনুমোদনহীন সাইনবোর্ড বসানো হচ্ছে তা নই অনেকে অনুমোদন নিয়েও নীতিমালা অনুসরন করা হচ্ছে না। কয়েকজন দুরপাল্লার বাস ড্রাইভার জানান, পুলিশ লাইনের পর থেকে লাবনী পয়েন্ট মোড় পর্যন্ত বাঁক গুলোতে রাস্তার পার্শ্বে বিশাল আকার কয়েকটি বিলবোর্ড থাকায় অনেক সময় দৃষ্টি বিভ্রাট ঘটে। এছাড়া যে সকল বিশাল আকারের বিলবোর্ড বসানো হয়েছে তা যে কোন মূহুর্তে প্রাকৃতিক দূর্যোগে ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবেশ আন্দোলনের কয়েকজন কর্মী জানান, শহরের অধিকাংশ বিলবোর্ড প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করছে। কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসন কর্তৃক কলাতলী পয়েন্টে কয়েকটি অবৈধ বিলবোর্ড গুড়িয়ে দেয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় দোকানদার ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। অন্যদিকে সড়কের দূ-পাশে খুঁটির উপর যে সব সাইন বোর্ড বসানো হচ্ছে তা পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে কীনা তদারকি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত: