ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

এহসান সোসাইটি চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

ahsan-society_1ঈদগাও প্রতিনিধি ::
গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় এহসান সোসাইটির চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মূল হোতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে আদালত।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যাট আদালত -৪ এর বিচারক এ পরোয়না জারী করেন।

এর আগে মাঠকর্মী বজলুর রহিম বাদী হয়ে গত ২০ এপ্রিল কক্সবাজার আদালতে একটি মামলা করেন। যার নং সি আর ৩৮৮/২০১৬।

পরোয়ানাভুক্ত অাসামীরা হচ্ছেন- ব্যবস্থাপক হাফেজ নেজাম উদ্দিন (নতুন অফিস ইসলামপুর), সমন্বয়কারী কফিল মাহমুদ (ভাদিতলা, ঈদগাও), মো: শোয়াইব রশিদ (নতুন অফিস ইসলামপুর) এবং গনসংযোগ উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলম।

ইতোপূর্বে দায়েরকৃত মামলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা রহস্যজনক কারনে কফিল মাহমুদকে বাদ দেয়ায় উক্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী দরখাস্থ করেন মামরার বাদী। এ দরখাস্ত আমলে নিয়ে কফিল মাহমুদকে আসামীভুক্ত করে চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয় আদালতের বিচারক।

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড:একরামুল হুদা।

উল্লেখ্য কফিল মাহমুদের নের্তৃত্বে গত ২০১১ সালে ঈদগাওতে এহসান সোসাইটি সংস্থার একটি শাখা প্রতিষ্টিত করে সুদ মুক্ত শরীয়াহ মোতাবেক লভ্যাংশ প্রদানের প্রলোভনে সদস্য ভর্তি ও সঞ্চয়ের নামে বিগত ৪ বছরে ৬’শ গ্রাহক সৃষ্টি করে তাদের কাছ হতে কোটি টাকার উর্ধে সংগ্রহ করে কফিল- নেজাম সিন্ডিকেট চক্র বাস স্টেশস্থ অফিস গুটিয়ে গা-ঢাকা দেয়। এতে করে তাদের নিয়োগকৃত মাঠকর্মী ও শত শত গ্রাহক বেকায়দায় পড়ে যায়। মাঠকর্মীদের মধ্যে বজলুর রহিম বাদী হয়ে গত ২০/৪/১৬ তারিখে কক্সবাজার আদালতে একটি মামলা করেন। যার নং সি আর ৩৮৮/২০১৬। মামলায় কফিল – নেজাম সিন্ডিকেটকে আসামী করা হয়। উক্ত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পিবিআই কর্মকর্তা মাহমুদ সিদ্দিকির কাছে । অভিযোগ উঠেছে তিনি তার তদন্তের কলমকে ফাঁকি দিয়ে মূল হোতা কফিল মাহমুদ কে বাদ দিয়ে আদালতে ১৩/৮/১৬ তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এদিকে উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে নারাজি আবেদন দাখিল করা হয়। আদালত এ নারাজী আমলে নিয়ে বাদ দেয়া কফিল মাহমুদ সহ মূল হোতা ৪ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুও নির্দেশ দেন। আরো উল্লেখ্য যে, উক্ত কর্মকর্তা নামধারীরা অসহায় দুস্থ লোকদের টাকা আত্মসাৎ করে রামু, চকরিয়া ও ঈদগাও সহ বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন নাম ধারন করে উক্ত টাকায় ব্যবসা চালিয়ে দামী গাড়ি হাঁকাচ্ছে। অন্যদিকে পার পাওয়ার জন্য নিজেদের আওয়ামীলীগ কর্মী সাজানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাঠকের মতামত: