ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা হত্যার তদন্ত দাবি জাতিসংঘের

rohinga-1024x575-300x170নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের সংঘাতময় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা ও গ্রেফতার করছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করবার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী এসব করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের নেতা অং সান সুচি অসন্তুষ্ট হতে পারেন এই আশংকায় বহু কূটনীতিক ও সাহায্য সংস্থাই এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

তবে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার চার জন বিশেষ প্রতিনিধি এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে গ্রেফতার, নির্যাতন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার কথা উল্লেখ করেছে।

প্রথমবারের মতো বিষয়টি তারা ওই প্রতিবেদনে এই অভিযোগ তদন্তের জন্য মিয়ানমারকে জোরালোভাবে আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকটি চৌকিতে হামলায় ৯ জন পুলিশ সদস্য নিহত হবার পর সে অঞ্চলে ত্রাণকর্মী ও সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ চৌকিতে হামলার ঘটনায় রাখাইনে ব্যাপক অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী।

গ্রেফতার হওয়া এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ সে পুলিশ চৌকিতে হামলার সাথে জড়িত ছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অভিযান শুরুর পর থেকেই সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের দেখলেই বিনা প্রশ্নে গ্রেফতার করছে।ওই হামলার জন্যে মূলত রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ ঘটনার পর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনী ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।

খবরে বলা হয়, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হচ্ছে। অনেককে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।

যদিও সংঘাত শুরুর পর থেকে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে, তারপরও বিবিসির কাছে সেনাবাহিনীর হত্যা ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে কথা বলেছেন একজন স্থানীয় বাসিন্দা।

এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ‘তারা তরুণ বা কোনও ভদ্রলোককে দেখামাত্র প্রশ্ন ছাড়াই গ্রেফতার করছে এবং ভীষণভাবে মারছে। আমরা খুবই ভয়ে আছি। গত ৯ই অক্টোবর থেকে তারা এখন পর্যন্ত অনেকেই হত্যা করেছে, সঠিক সংখ্যা আমাদের জানা নেই। আমরা গ্রাম ছেড়ে একটি পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছি।’

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির বিষয়-সম্পত্তিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অগ্নিসংযোগ করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এরই মধ্যে রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন পীড়নের বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও নানাভাবে ফেসবুক-সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ পাচ্ছে।

রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বৌদ্ধ এবং সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের সে দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকারই করে না।

 

পাঠকের মতামত: