নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহর ময়লার শহরে পরিনত হয়েছে। সুনির্দিষ্ট ময়লার ফেলার জন্য ডাষ্টবিন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরধারী না থাকায় যত্রেতত্রে ফেলে রাখা ময়লা আবজনায় চকরিয়া পৌরশহরের বাতাস দূষিত হয়ে পড়েছে। এর ফলে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পৌর শহরে আসা লোকজন এ দুর্ষিত বাতাসের কারণে রোগব্যধ্যির শিকার হয়ে হাসপাতালে ঠাঁই হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পৌরসভার অংশ বাসটার্মিনাল, জমজম হাসপাতালের পার্শ্বে, ওয়াবদা রোড়, বালিকা বিদ্যালয় সড়ক কালের স্বাক্ষী। এছাড়া প্রতিনিয়িত পৌর শহরের প্রধান সড়কের পার্শ্বে হকারদের ফেলে দেয়া ময়লা আবর্জনা গুলো বিভিন্নস্থারে স্তুপ করে রাখার কারণে যন্ত্রনার কাল হয়ে পড়ে সাধারণ লোকজনের মাঝে। নামার চিরিঙ্গা এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাদের জানায়, পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিদিষ্ট ডাষ্টবিন ও পৌরসভার কতৃপক্ষের সঠিক নজরধারী না থাকার কারণে হোটেল রেস্তোর, বাসাবাড়ি ও ছোট বড় বিভিন্ন কলকারখানা, ওয়ার্কশপ,সহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানের বর্জ গুলো অন্ধকারে রাস্তার ধারে ফেলে চলে যায। এসব ময়লা গুলো সঠিক সময়ে না সরার কারণে প্রতিদিন স্তুপে পরিনত হয়ে দূরর্গন্ধ ছড়ায়ে পরিবেশ ভারী করে তুলে। ফলে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীদের চলাচলে এসব দূর্গন্ধ লেগে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
পৌরসভার ময়লার ভাগার্ড় ও পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলিতে স্তুপ করে রাখামধ্যে বিশেষ করে বাসটার্মিনাল, জমজম হাসপাতালের পার্শ্বে, ওয়াবদা রোড়, বালিকা বিদ্যালয় সড়ক, বিমানবন্দর রোর্ড, বিদ্যাপীঠ সড়ক, নিরিবিলি আবাসিক, সবুজবাগ এলাকা, হিন্দুপাড়া, কসাইপাড়া, ফুলতলা, থানা মসজিদের পার্শ্বে, হালকাকারা মৌলভীর চর, চৌমহুনী, হাইস্কুল রোড়, নামার চিরিঙ্গা, বাশঘাটা রোর্ড, বায়তুশ শরফ রোর্ড, কিডর্স কেয়ার স্কুলের পার্শ্বে, হাসপাতাল রোড়, মেয়র হায়দার ও দুবাই আলমের সামনে রোড, সমিতি মার্কেটের সামনে, আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্সের ধানসিড়ি পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থান রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা নামমাত্র ঝাড়– দিতে আসলেও সঠিক ভাবে তা পরিস্কার না করে চলে যায়। বেশ কিছু ব্যবসায়ীদের দাবী এসব পরিচ্ছন্নকর্মীদের দাবীকৃত টাকা না দিলে ময়লা গুলো কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।
তারা আরো জানায়, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সপ্তাহখানিক ব্যাপী পৌরসভার ময়লা আবর্জনা পরিস্কারে অভিযান চালালেও পরক্ষণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এসব স্থানের ময়লা গুলো সঠিক সময়ে দ্রুত পরিস্কার না করলে অচিরে পৌরসভা আশপাশ বিষাক্ত পরিবেশে রূপান্তি হবে।
প্রকাশ:
২০১৬-১০-২৩ ০৭:২৭:৪০
আপডেট:২০১৬-১০-২৩ ০৭:২৭:৪০
- চকরিয়াতে দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামসর্বস্ব অবৈধ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নজরদারী নাই
- লামা বনবিভাগের মানিকপুর রিজার্ভে পাহাড়কাটার ধুম: নিরব প্রশাসন
- চকরিয়ায় বাড়ির পাশে ট্রেন দেখতে গিয়ে কাটাপড়ে কিশোরী মাদারাসা ছাত্রীর মৃত্যু
- চকরিয়ায় ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
- চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুবুল হকের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের মানববন
- চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ ১৯ ঘন্টা পর উদ্ধার
- চকরিয়ায় সাড়ে ৫ কেজি গাঁজাসহ পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার
- পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ পালাল আসামি
- রামুতে ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
- চকরিয়া ৩৪ বছরের চলাচলের রাস্তা দখলমুক্ত করলেন ইউএনও, খুশি এলাকাবাসী
- চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তে পুড়ে ছাই ৫ বসতঘর, ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন
পাঠকের মতামত: