ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

দরিয়ানগরে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

veterinary-rd-21-10-16-1বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগরে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় সড়কের নির্মাণ কাজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। সকাল ১১টায় স্থানীয় ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান উক্ত নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।

এসময় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নুরুল আবছার খান, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি আরিফউল মওলা, বড়ছড়া আশ্রায়ণ ভূমিহীন সমবায় সমিতির সভাপতি মাহবুব আলম, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কাজী আবদুল খালেক, মোহাম্মদ ইসমাইল, বড়ছড়া আশ্রায়ণ ভূমিহীন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বড়ছড়া যুব সমাজের সভাপতি নুরুল আবছারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলীগণ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে আল্লাহর সাহায্য চেয়ে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি আরিফউল মওলা।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নুরুল আবছার খান জানান, স্থানীয় গ্রামবাসী ও চেয়ারম্যানের অনুরোধে এই সড়কটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রথম ধাপে নির্মাণাধীন এ রাস্তার দৈর্ঘ হবে ৮৩০ ফুট এবং প্রস্থে হবে প্রায় ১৩ ফুট। পাশে থাকবে পাকা ড্রেন।

তিনি আরো জানান, এ রাস্তার কিছু অংশ হবে আরসিসি ঢালাই আর কিছু অংশ এইচবিবি। পরবর্তীতে এই সড়কটি গুণগত মানে আরো উন্নত করা হবে।

ডিন ড. আবছার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গত সিন্ডিকেট সভায় এ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পটি পাশ হয়েছে। এরপরই পত্রিকায় টেন্ডার আহবান করে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারী মাসে প্রথমবারের মত কক্সবাজার বহি:ক্যাম্পাসে অনুষ্টেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার প্রস্তুতি হিসাবে এই সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বড়ছড়া আশ্রায়ণ ভূমিহীন সমবায় সমিতির সভাপতি মাহবুব আলম ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জানান, প্রায় ২৪ বছর আগে ৬৬২টি ভূমিহীন পরিবারকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে উচ্ছেদ করে এখানে পূনর্বাসন করা হয়। পরে মাত্র ৮০টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য আশ্রায়ণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলেও বাকীরা আশ্রায়ণ প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত হতে পারেনি। এমনকি এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশু-কিশোর-যুবাদের জন্য কোন খেলার মাঠ ও মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

তারা আরো জানান, ৯৬-২০০১ সালে এখানে আশ্রায়ণ প্রকল্প নির্মাণ করা হলেও গত দুই দশকেও এখানকার রাস্তাঘাটের কোন উন্নয়ন করা হয়নি। তবে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় তাদের প্রতি গ্রামবাসী কৃতজ্ঞ।

 

পাঠকের মতামত: