ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ছে চালের দাম ঃ বিপাকে হতদরিদ্ররা বিশেষ কর্মসূচীর চাল বিতরণ শুরু হয়নি ৪ উপজেলায়

কক্সবাজার প্রতিনিধি :::
পাইকারী বাজারে চালের দাম এখনো উর্ধ্বমূখী। চাল প্রতি কেজিতে এক টাকা থেকে  ৫০ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রায় ২ মাস ধরে দফায় দফায় চালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। এ ছাড়াও জেলার ৪ উপজেলায় এখনো বিতরণ শুরু হয়নি বিশেষ কর্মসূচীর চাল। এখনো ডিলার নিয়োগ হয়নি দুই উপজেলায়। অন্য দুই উপজেলায় সকল পক্রিয়া সম্পন্ন হলেও এখনো উপজেলা থেকে তালিকা কার্ড প্রেরণ করেনি ইউনিয়ন পরিষদে।
গত দুই মাসে প্রতি কেজি চালের মূল্য কয়েক দফায় বাড়ছে। ক্রেতাদের বুঝাতে না পেরে চরম বেকায়দায় পড়েছেন খুচরা ব্যবসায়িরা। এছাড়া চালের দাম দফায় দফায় বাড়ায় হতদরিদ্ররাও পড়েছেন বিপাকে।
অনেক হতদরিদ্রদের নাম বিশেষ কর্মসূচির তালিকায় থাকলেও উপজেলা থেকে এখনো কার্ড না আসায় উত্তোলন করতে পারছে না প্রতি কেজি ১০ টাকা দামের সে চাল।
শহরের বাহারছড়া বাজারের খুচরা ব্যবসায়ি নুরুল আলম জানিয়েছেন, চালের দাম বাড়তি হলেও প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তা স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু গতকাল থেকে বস্তা প্রতি চালের মূল্য ৫০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কেন বাড়ছে তার ব্যাখ্যা না থাকায় আমরা সমস্যায় পড়েছি। প্রত্যেক ক্রেতাই জানতে চায় চালের দাম বাড়ছে কেন।
পাইকারি চাল বিক্রয় প্রতিষ্ঠান গৌরী ভান্ডারের কর্ণধার দিলীপ শীল জানান, বিভিন্ন মোকামেও চালের মূল্য বৃদ্ধির কোন ব্যাখা নাই। তারাও জানে না চালের দাম কেন কমছে না। তাই আমাদের যে দরে চাল হচ্ছে তা মিলিয়েই চালের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ি ছাড়াও পাইকারি ব্যবাসয়িরা অস্বস্থিতে আছে চালের মূল্য নিয়ে। আগামিতে চালের মূল্য কমে আসবে এটা নিশ্চিত, তাই লোকসানের ভয়ে বেশী চাল কেউ আনতেছে না। তবে বাজারে চালের কোন সংকট নেই।
এদিকে জেলার ৮টি উপজেলার ৪টিতে এখনো চাল বিতরণ শুরু হয়নি বিশেষ কর্মসূচীর। মহেশখালীতে ২৩ জন ডিলার নিয়োগ হলেও এখনো চাল বিক্রি শুরু হয়নি। যার ফলে এখনো চাল পায়নি তালিকা ভুক্ত ১৩ হাজার ২৬২ টি পরিবার। টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় এখনে ডিলার নিয়োগ হয়নি। ডিলার নিয়োগে বিভিন্ন গ্রুপিং এর কারণে এখনো ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। যার ফলে উখিয়া উপজেলায় ১০ হাজার ৩২৯ ও টেকনাফ উপজেলায় ১৬ হাজার ১৬৯ টি পরিবার এখনো চাল পায়নি। উপজেলা থেকে তালিকা প্রেরণ না করায়
চট্টগ্রাম থেকে পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি ট্রেডার্সের পরিচালক সনজিত বৈদ্য জানিয়েছেন, যেকোন সময় চালের মূল্য ব্যাপক হ্রাস পেতে পারে। তবে আগামি এক সপ্তাহে চালের মূল্য আরো সামান্য বাড়তে পারে। তবে প্রতিটি উপজেলায় বিশেষ কর্মসূচীর চাল বিক্রি শুরু হলে আগের অবস্থানে ফিরে যাবে চালের মূল্য।

পাঠকের মতামত: