ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারের অন্য রকম একটি সমুদ্র সৈকত শামলাপুর বীচ

coxsbazar-pict-19-10-2016-shahin-3

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার, ১৯ অক্টোবর ॥
সমুদ্রের কথা মনে হলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে নীছে লোনা জল। দেশ বিদেশের জমকালো অনিন্দ্য সুন্দর সৈকতগুলো প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকদের কাছে টানে। দেশ বিদেশের অন্য সব বীচ থেকে আলাদা একটি সৈকত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর বীচ।
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ শহর ছেড়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে প্রায় বিশ কিলোমিটার গেলে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন শিলখালী গর্জন বন। সুউচ্চ গর্জন গাছের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া মেরিন ড্রাইভ সড়কটির ধরে আরো প্রায় দশ কিলোমিটার গেলেই নির্জন একটি সমুদ্র সৈকত। এটি বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরবীচ।
স্থানীয়রা এটাকে শামলাপুর কিংবা শাপলাপুর সৈকত বলে থাকেন। সৈকতের তীর ঘেঁষে রয়েছে ছোট ছোট আর মাঝারি আকৃতির ঝাউগাছের জঙ্গল। এখানে নিরাপদ ভ্রমণ স্বাচ্ছন্যবোধ করে ভ্রমণপিপাসুরা।
সিলেটি পর্যটক দম্পত্তি আনোয়ার শাহাদাত ও জুই বলেন, শামলাপুরের সৈকত অত্যন্ত সুন্দর। এখানে এসে মনের পরতে পরতে অনুভুত হয়েছে সৌন্দর্যের রঙ্গিন আভা।
খুব সকাল কিংবা বিকেলে সৈকতে ঝাঁকে ঝাঁকে নামে লাল কাঁকড়ার দল। আর ঝাঁকে নামে সীগাল সহ নাম না জানা ছোট্ট ছোট্ট সামুদ্রিক পাখিগুলো। সৈকতজুড়ে রয়েছে নোঙ্গর করা সুন্দর সুন্দর নৌকা। দীর্ঘ সৈকত বেশিরভাগ সময়ই থাকে প্রায় জনমানবহীন। এর পরেও এখানে পর্যটকরা ছুটে আসেন।
পর্যটকদের মতে, ভ্রমণে যারা নির্জনতাকে পছন্দ করেন তাদের জন্য শামলাপুর সৈকত আদর্শ জায়গা হিসেবে বেশ পরিচিত। তাই ভালবাসার স্বপ্নিল ঢেউ আছড়ে পরে এখানে।
সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে শামলাপুর বীচের। দেশি বিদেশী পর্যটকদের কাছে টানবে সমুদ্রপাড়ের বালুতট। এমনটাই দাবী করেছেন স্থানীয় অধিবাসি জাফর আলম, আবুল মনজুর ও সাহাব উদ্দিন ।

পাঠকের মতামত: