ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আওয়ামী লীগ নেতারা পদ নিয়ে টেনশনে, রাজনীতির হালচাল

aligঅনলাইন ডেস্ক ::

আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলীয় পদে থাকা নেতাদের পদ পরিবর্তন এবং বাদ পড়ার সম্ভাবনাও বাড়ছে। কাউন্সিলে কার কপাল পুড়ছে আর কার কপাল খুলছে— দলে এরকম আলোচনা এখন সর্বত্র। দলের বেশির ভাগ কেন্দ্রীয় নেতার মধ্যেই ‘বাদ পড়ছি, না থাকছি’ এই নিয়ে যত দুশ্চিন্তা আর টেনশন! আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এবারের কাউন্সিলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন নেতৃত্ব আসবে। পুরনোরা বিদায় নেবেন। কাজেই পদে থেকে যাওয়া ও নতুন করে নাম লেখাতে নেতারা মুখিয়ে থাকবেনই। এতে টেনশন কিছুটা থেকেই যায়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বেশ কয়েকজন নেতা এবং পদ প্রত্যাশী একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে আভাস পাওয়া যায়, পদোন্নতি বা আগের চেয়ে ভালো পদ পাচ্ছেন কিনা সে চিন্তায় আছেন অনেকে। আবার দলে পদ পেতে যারা তদবির ও লবিং করছেন, তারাও চিন্তায় আছেন শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির পদ তাদের কপালে জুটবে কিনা! দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এবারের কাউন্সিলে অনেক পদেই পরিবর্তনের সম্ভাবনা প্রবল। অনেক ডাকসাইটে নেতাও পদ হারাতে পারেন। এমনকি অনেকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে একেবারে ছিটকেও পড়তে পারেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই তাই নিজেকে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিটি কাউন্সিলেই পদ পাওয়া এবং পদ ধরে রাখার জন্য নেতারা উদ্বিগ্ন থাকেন। এ ছাড়া বিগত দিনে কমিটিতে থেকে যারা পদ-পদবি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন, সাংগঠনিক কাজের চেয়ে দলীয় পদকে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করেছেন, তারাই সবচেয়ে টেনশনে আছেন। তিনি বলেন, দলীয় পদ হারালে ওই নেতাদের ব্যবসা লাটে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই তারা চাইবে যে কোনো মূল্যে পদ টিকিয়ে রাখতে। তবে সাংগঠনিক ব্যর্থতা এবং নানা কারণে বদনাম কুড়ানো নেতাদের এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেবেন না দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের একাধিক সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কমিটিতে পরিবর্তনের যে বাতাস বইছে তার হাওয়া লাগতে পারে কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে শুরু করে সম্পাদকমণ্ডলী এবং প্রেসিডিয়াম পর্যন্ত। তবে বেশির ভাগ পরিবর্তন আসতে পারে সম্পাদকমণ্ডলীতে। তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে না পারা, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে বিতর্কিতদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মনোনয়ন দেওয়াসহ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাদের কার্যনির্বাহী সংসদ থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে দলের উচ্চ পর্যায়ে চিন্তাভাবনা আছে। এ ছাড়া দলে নিষ্ক্রিয় থাকার পাশাপাশি যারা মন্ত্রিসভায় থেকে দুর্নীতি, অনিয়ম বা বিতর্কিত হয়েছেন, তাদেরও দলীয় দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। দলীয় উচ্চপর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, এবারের কাউন্সিলে বেশি ঝড় যাবে সাংগঠনিক সম্পাদকদের ওপর। দুই মেয়াদের দায়িত্ব পালনকারী এসব সাংগঠনিক সম্পাদকের কারও কারও বিরুদ্ধে গত ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য, কমিটি গঠন করে অনৈতিক সুবিধা নেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এবার তারা ছিটকে পড়তে পারেন। তবে সাংগঠনিক সম্পাদকদের কেউ কেউ পদোন্নতিও পেতে পারেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন

পাঠকের মতামত: