ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় গ্রেফতার হওয়া মাদরাসা শিক্ষকের স্ত্রীর অভিযোগ তার স্বামীকে মাদরাসা থেকে বিতাড়িত করে জায়গা দখলে নিতে একটি চক্র অপচেষ্টা চালাচ্ছে!

chakaria-picture13-10-2016-3এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নে মাদরাসার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা জামাল উদ্দিন পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী রুজিনা আক্তার। বৃহস্পতিবার বিকেলে চকরিয়া রিপোর্টাস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্রেফতারকৃত মাদরাসা শিক্ষকের ভগ্নিপতি মকছুদ আহমদ, প্রতিবেশি নুরুল আলম ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ঠিকাদার কামাল হোসেন। রুজিনা আক্তার দাবি করেন, তার স্বামী দীর্ঘবছর ধরে কায়িক পরিশ্রম করে পৈত্রিক জায়গা ও অন্যের দানকৃত জায়গায় ফাসিয়াখালী ছড়ারকুলস্থ দ্বীনি প্রতিষ্টান আর্দশ ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসাটি প্রতিষ্টা করেন। বর্তমানে মাদরাসায় অন্তত তিন থেকে চারশত শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন। চাকুরীতে আছেন ১০-১২জন শিক্ষক মন্ডলী।

রুজিনা আক্তারের দাবি, স্থানীয় কতিপয় মহল ইষার্ণিত হয়ে মুলত মাদরাসা থেকে তার স্বামী শিক্ষক ও পরিচালক জামাল উদ্দিনকে বিতাড়িত করতে এবং মাদরাসার জায়গা দখলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। তাঁরা ইতোপুর্বে একবার মাদরাসার ভেতর ভাঙ্গা একটি দেশীয় অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে ঘটনাটি সাজানো প্রমাণিত হওয়ার পর থেকে তাঁরা ওই শিক্ষকের পেছনে লেগে রয়েছে। মাদরাসা শিক্ষক জামাল উদ্দিনের স্ত্রী রুজিনা দাবি করেন, কতিপয় মহলের পরিকল্পিত ঘটনার অংশ হিসেবে সর্বশেষ গত ১০ অক্টোবর দুপুরে মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা সাজিয়ে তার স্বামীকে আটক করে নির্দয়ভাবে মারধরের পর ফাসাঁনোর জন্য পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

রুজিনা আক্তার দাবি করেন, ঘটনার পরদিন সংবাদপত্রে খবর ছাপা হয় তার স্বামীকে ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার মারধর করেছে। আমি এই খবরটি দেখে রীতিমত হতবাক হলাম। কারন ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার কতিপয় চক্রের লেলিয়ে দেয়া উশৃঙ্খল জনগনের কবল থেকে আমার স্বামীকে উদ্ধার করেন। নুরুল আবছার ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হলে আমার স্বামী ওইদিন নিশ্চিত মারা যেত। তাই আমি আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে সকল স্বাক্ষ্য প্রমাণ বিবেচনাপুর্বক আমার নিরাপরাধ স্বামীকে অবিলম্বে জামিনে মুক্তি দেয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে বিনীত প্রার্থনা জানাচ্ছি। বর্তমানে আমি স্বামীর অনুপস্থিতির কারনে তিনটি অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে চরম কষ্টে দিনযাপন করছি। #

পাঠকের মতামত: