ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় রাতের আঁধারে বাণিজ্যিক পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন, ৫লাখ টাকার ক্ষতি

ggtএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে রাতের আঁধারে পাঁচটি বাণিজ্যিক মৎস্য পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এসব মৎস্য প্রকল্পে নানা জাতের বেশির ভাগ মাছ মারা গেছে। এতে মৎস্য প্রকল্প মালিককের প্রায় ৫লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১২ অক্টোবর দিবাগত রাতে ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ছইন্ন্যামারঘোনা এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।

আক্রান্ত মৎস্য প্রকল্পের মালিক ওই এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে রহিম উল্লাহ জানান, চলতিবছর বিপুল টাকা বিনিয়োগ করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহের তাগিদে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে ছোট বড় ৫টি পুকুর লাগিয়ত নিয়ে মৎসচাষ করেছেন। বর্তমানে তার পাঁচটি মৎস্য প্রকল্পে নাইলেটিকা, গ্লাসকাপ, ফাংকাস, কাতাল, রুই, মৃগেল ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে।

রহিম উল্লাহ দাবি করেন, পুকুর গুলোতে প্রতিদিন মাছের খাদ্য যোগান দিতে তিনি চকরিয়া পৌর শহরের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাছ বিক্রয় করে টাকা পরিশোধের শর্তে খাদ্য সংগ্রহ করতেন।

কিন্তু ১২ অক্টোবর রাতে দৃর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে তার মৎস্য প্রকল্পে হানা দিয়ে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় তার সবকিছুই তছনছ হয়ে গেছে। রহিম উল্লাহ’র অভিযোগ, পুকুর থেকে তাকে উচ্ছেদ করার জন্যই স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা আর্থিক ক্ষতিসাধনে এ ঘটনাটি সংগঠিত করেছে। ইতোপূর্বেও একই দূর্বৃত্তরা তার দুটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নির্ধন করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিএমচর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বার বুলবুল জন্নাত। তিনি বলেন, এলাকায় কিছু খারাপ প্রকৃতির মানুষ অতিরিক্তহারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাঁরা প্রথমে চাঁদা দাবি পরে অবস্থা বুঝে অন্যের ক্ষতি করতে কারপণ্য করছেনা। তিনি বলেন, এই রকম ঘটনার জেরে রহিম উল্লাহ নামের মৎস্য চাষী এখন বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ রহিম উল্লাহ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তিনি জড়িত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনী প্রদক্ষেপ নিচ্ছেন।

পাঠকের মতামত: