ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের দুর্নীতির তদন্তে দুদক

চকরিয়া অফিস :
চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের তদন্তে স্বাক্ষীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ১৩ অক্টোবর এ বিভাগের কর্মচারীরা এ কথা জানিয়েছেন। তারা পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রম নিরপেক্ষ ও নিরাপদ স্থানে করার দাবী জানান।
চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ২৯এপ্রিল দুর্নীতি দমন বিভাগের  সাবেক উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে জানানো হয় তিনি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চকরিয়ায় কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে তিনি ঘোষ, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও নানা অনৈতিক কান্ডে জড়িয়ে পড়েন। এ অভিযোগে সম্প্রতি তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক গত ৫ অক্টোবর থেকে তদন্ত শুরু করেন। এ তদন্ত আরও কয়েকদিন চলবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে প্রথম দিনের তদন্তে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র স্বাক্ষী দিতে আসা ইমপ্লন্ট রোগীদের আজ স্বাক্ষী হবে না, চলে যান বলে কৌশলে সরিয়ে দেন। চৌধুরী মোর্শেদ আলমের সাথে দুর্নীতিতে জড়িত একটি চক্র স্বাক্ষীদের হুমকিও দেন। তদন্তের সময় অভিযুক্ত কর্মকর্তার পক্ষের লোকজনদের বসিয়ে রাখেন। এতে তদন্ত কার্যক্রমে বিঘœ সৃষ্টি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশংকা প্রকাশ করেছেন। এ জন্য তারা এ তদন্ত কার্যক্রমটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে করার দাবী জানান। সংশ্লিষ্টরা জানায়; সদ্য বদলী হয়ে যাওয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা চৌধুরী মোর্শেদ আলমকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাঁচানোর জন্য দুর্নীতিতে তার সহযোগী কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রথম দিনের তদন্তে অভিযুক্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা চৌধুরী মুর্শেদ আলম উপস্থিত ছিলেন না। এদিন ইমপ্লান্ট রোগীদের টাকা প্রদানের ভাউচার দেখাতে পারেননি। এ ব্যাপারে চৌধুরী মোর্শেদ আলম চৌধুরীর পক্ষে অফিস সহকারী বাপ্পি শর্মা ভাউচার গুলো পড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে দাবী করেন। এসময় কর্মচারীরা এর প্রতিবাদে জানান; ভাউচার পুড়িয়ে ফেলতে হলে কমিটির অনুমতি লাগে। সংশ্লিষ্টরা জনান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাসিক সভায় এ বিভাগের দুর্নীতির কথা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। অথচ তিনিই আবার এখন দুর্নীতির পক্ষে কাজ করছেন। এ ব্যাপারে বিধান কান্তি রুদ্র জানান ; তদন্ত কার্যক্রমে তিনি কাউকে চলে যেতে বলেননি।

পাঠকের মতামত: