ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কিশলয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

kisaloyসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি,   চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী কিশলয় আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। ত্রাণ ও দূযোর্গ মন্ত্রনালয়ের ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে নির্মিত আশ্রায়ন প্রকল্প ভবনের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উপকূলের মানুষের জীবনমান ও সহায় সম্পদ রক্ষায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিল। সে সবুজ বেষ্টনী আজ মানুষের উপকারে আসছে। এ সবুজ বেষ্টনী যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। সেখানে আরো বেশি বেশি করে সবুজ ঝাউগাছ রোপন করতে হবে।

তিনি বলেন, দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন থাকলে এবং পূর্বপ্রস্তুতি সঠিকভাবে গ্রহণ করলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান কমানো যায়। ভিডিও কনফারেন্সে ১৯৭০, ১৯৮৮, ১৯৯১ এবং ১৯৯৮ সালের বন্যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট পারদর্শিতা অর্জন করেছে।’ বক্তব্যে তিনি ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বাঁশখালীর দুর্যোগ পূর্ববর্তী সময়ে নেওয়া পদক্ষেপের কথাও বর্ণনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী ১৫ মিনিটের বক্তব্যে আরো বলেন, এসব সাইক্লোন সেল্টারে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গবাদি পশু রক্ষার জন্য জায়গা সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাই দূর্যোগের সংবাদ পাওয়া মাত্রই কাছাকাছি অবস্থিত সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য উপকূলের জনসাধারণকে আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধন শেষে ফলক উন্মোচন করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম। এসময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দূর্যোগ মোকাবেলায় সারাদেশে ১৫৩ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে তিনতলা বিশিষ্ট প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজারের অধিক মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।’ দুর্যোগ মুহূর্ত ছাড়া অন্যান্য সময় এগুলো বিদ্যালয় ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে তিনি জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব চৌধুরী মো: তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফলক উম্মোচন পরবর্তী আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক ঈদী আমিন চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে চকরিয়া উপজেলা উপ-প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ সওদাগর, খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, ইউনিয়ন আ‘লীগ সিনিয়র সহ সভাপতি বাহাদুর হক, শেখ বশির আহমদ হেলালী, সাধারণ সম্পাদক এম বেলাল আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মো: শাহাজালাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল হক ভুট্টো উপস্থিত ছিলেন।

সহকারী প্রধান শিক্ষক এস.এম জাহাঙ্গীর আলমের সার্বিক তত্বাবধানে ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি মেম্বার আবদুল আউয়াল, ওয়াশিম আকরাম, অলি আহমদ, জসিম উদ্দিন, মো: ছলিম উল্লাহম, এম.এম. তারেকুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধা মো: ফরিদ, সাবেক মেম্বার আনোয়ারা ইসলাম, কিশলয় ট্রাষ্ট চেযারম্যান খোদেজা বেগম, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলাম, আকবর হোছাইন খোকন, রিদোয়ানুল হক, জয়নাব বাহার, নুর জাহান বেগম, আমিরুল কবির, শাহাজাহান চৌধুরী, সাঈদা জেসমিন, আমিন কাদেরীসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ, সাংবাদিক এবং স্থানীয় সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা ও বিপুল পরিমান ছাত্রীবৃন্দ।।

একই সময়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ১৫৩টি সাইক্লোন সেল্টারের উদ্বোধন করেন।

####################################

গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ে বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি, কক্সসবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। ত্রাণ ও দূযোর্গ মন্ত্রনালয়ের ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে নির্মিত আশ্রায়ন প্রকল্প ভবনের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উপকূলের মানুষের জীবনমান ও সহায় সম্পদ রক্ষায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিল। সে সবুজ বেষ্টনী আজ মানুষের উপকারে আসছে। এ সবুজ বেষ্টনী যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। সেখানে আরো বেশি বেশি করে সবুজ ঝাউগাছ রোপন করতে হবে।

প্রত্যেক বাড়ীতে পরিত্যাক্ত স্থানে একটি করে তালগাছ রোপন করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আগেকার মানুষ সাইক্লোন সেল্টারে যেত না। যে কারণে ১৯৯১, ১৯৯৪, ১৯৯৭, ১৯৯৮ ও ২০০৭ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছাসে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। দূযোর্গের ঘনঘটা দেখা দিলে উপকূলের মানুষ আশ্রায়ন প্রকল্পে তাদের সহায় সম্পদ নিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।

তিনি বলেন, দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন থাকলে এবং পূর্বপ্রস্তুতি সঠিকভাবে গ্রহণ করলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান কমানো যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক সেন্টারের সঙ্গে একটি করে স্টোর রুম থাকবে। যাতে করে অফিস-আদালতের কাগজপত্র সংরক্ষণ করা যায়। গবাদি পশুর জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। সাইক্লোন শেল্টারে আর্থিক ব্যবস্থা থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করেই এদেশের মানুষকে টিকে থাকতে হয়। কখনো কখনো মানুষের সৃষ্টি করা দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হয়।

প্রধানমন্ত্রী ১৫ মিনিটের বক্তব্যে আরো বলেন, এসব সাইক্লোন সেল্টারে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গবাদি পশু রক্ষার জন্য জায়গা সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাই দূর্যোগের সংবাদ পাওয়া মাত্রই কাছাকাছি অবস্থিত সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য উপকূলের জনসাধারণকে আহ্বান জানান।

ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাকি বিল্লাহ, সদর উপজেলা আ‘লীগ সভাপতি আবু তালেব, পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফিরোজ আহমদ, ইউপি সদস্য আলা উদ্দিন, কলিম উল্লাহ, লুৎফুর রহমান লুতু, হেলাল উদ্দিন, মহিলা মেম্বার রোকসানা আকতার প্রমুখ।

প্রধান শিক্ষক মো আবদু জলিলের সার্বিক সহযোগীতায় সিনিয়র শিক্ষক নুরুল ইসলামের তত্বাবধানে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিনিয়র শিক্ষক ওমর ফারুক, মুবিনুল হক, আবদুল মোনাফ, শাহ আলম, মুজিবুল হক, মো: আরফাত, রশিদ আহমদ, পরিচালনা কমিটির নব নির্বাচিত সদস্য মৌলানা নুরুল হুদা, আবদুল্লাহ, ইউনিয়ন আ‘লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নুরুল আলম, দিদারুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

একই সময়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ১৫৩টি সাইক্লোন সেল্টারের উদ্বোধন করেন।

পাঠকের মতামত: