ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় অপ্রতিরোধ্য সিলিন্ডারে অবৈধ গ্যাস ব্যবসা! বিস্ফোরণে প্রাণহাণির আশঙ্কায়, নির্বিকার প্রশাসন

gaz-silinderমনির আহমদ, চকরিয়া :::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে অনুমোদন বিহীন অবৈধ গ্যাস ব্যবসা। গতবছর উপজেলা সহকারি কমিশনার বর্তমানে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাঈন উদ্দিন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডারসহ খোলা ট্রাক গাড়ি আটক করেন। পরে বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা আদায়ের পর অনুমোদন বিহীন এসব অবৈধ গ্যাস ব্যবসা বন্ধ করে দেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের সক্রিয় অভিযান বন্ধ থাকার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ন জনসমাগম স্থানে প্রভাবশালী মহল স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় সদস্যদেরকে মাসিক ভিত্তিতে ম্যানেজ করে জনবহুল এলাকায় দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে এ অবৈধ ব্যবসা।

চকরিয়া পৌরশহরের সড়ক বিভাগের অফিসের পশ্চিমে শহরের বাণিজ্যিক এলাকা চিরিঙ্গাস্থ ইসলামী ব্যাংকের পেছনে সড়কের স্থানে ট্রাকে সিলিন্ডার ভরে অবাধে চলছে অনুমোদন বিহীন এ গ্যাস ব্যবসা। খোলাভাবে এভাবে গ্যাস বিক্রির কারনে বর্তমানে বিক্রয় এলাকাটি চরম ঝুকিঁর মধ্যে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সচেতন মহলের অভিযোগ, সিলিন্ডার থেকে গ্যাস সঞ্চালন করার সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গ্যাসের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আবার অনেক সময় গ্যাস নিতে আসা পরিবহন চালকরা ওইসময় ধুমপান করেন। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে আশপাশ এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, দুর্ঘটনা একবার ঘটলে নিশ্চিত আশপাশ এলাকায় বিপুল মানুষের প্রাণহাণি হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এ অবস্থার উত্তোরণের লক্ষ্যে অবৈধ খোলা গ্যাস ব্যবসা বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও পরিবেশ সচেতন মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবৈধ গ্যাস বিক্রেতাদের দাবি, ট্রাকের ওপর করে এভাবে গ্যাস ব্যবসা করতে তাঁদের হাতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানালয়ের কোন ধরণের অনুমতিপত্র নেই। এমনকি পরিবেশ ছাড়পত্র বা ফায়ার সার্ভিসের নিরাপত্তা ছাড়পত্রও নেই। কিন্তু এসব কিছু ম্যানেজ করে চলতে হচ্ছে। তাদের মতে, এক গাড়ি গ্যাস আমরা চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে চকরিয়ায় আনতে পথে পথে সকল থানা পুলিশকে ম্যানেজ করতে হয়। অনুরূপভাবে চকরিয়া সদরে ব্যবসা করতেও বিভিন্ন ধরণের সংস্থাকে ম্যানেজ করতে হচ্ছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, চকরিয়া উপজেলা সদরে অবৈধ গ্যাস ব্যবসা চালু থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অবৈধ গ্যাস ব্যবসা বন্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানের সময় আদালত চাইলে আমি পুলিশ পাঠিয়ে সহযোগিতা দেব।

চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি ও উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট মো.মাহাবুব-উল করিম বলেন, চকরিয়া সদরে খোলা ট্রাকে অনুমোদন বিহীন অবৈধ গ্যাস ব্যবসা করার বিষয়টি আদালতের নজরে আছে। সময়ের সল্পলতার কারনে অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছেনা। তবে যে কোন মুহুর্তে আদালত এসব অবৈধ ব্যবসা বন্ধে অভিযান জোরদার করবে।

 

পাঠকের মতামত: