ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

লোহাগাড়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২, সেনা সদস্যসহ আহত ২১

accidentজাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া:
লোহাগাড়ার চুনতি হাজিরাস্তার মাথা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে কক্সবাজারমূখী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ও চট্টগ্রামমুখী ট্রাকের সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ২১ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।

নিহতরা হলেন লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি নারিশ্চা গ্রামের মোস্তাক আহমদের পুত্র প্রবাসী ছগির আহমদ (২৫) ও নিহত ১৩ বছরের ছেলেটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। ছগির আহমদ চমেক হাসপাতালে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। আহতরা হলেন রামু সেনানিবাসের সৈনিক ফেনী জেলার আব্দুর কাদেরের পুত্র জয়নাল আবেদীন (২৩), বোয়ালখালী হাজীর হাট আমতল এলাকার হরাধনের স্ত্রী সবিতা দাশ (৭০), সুজিত দত্তের স্ত্রী জনু দত্ত (৪০), খোকন দত্তের স্ত্রী রপ্না দত্ত (৪৫), কক্সবাজারের চকরিয়ার ফরিদ উদ্দিনের পুত্র মোঃ রানা (৩১), কন্যা ছামিয়া (১৭), সৈয়দ কবিরের স্ত্রী দিল নূর (৪৫), কুতুবদিয়ার আবু তাহেরের পুত্র লিটন (৩০), উখিয়া মরিচ্যা এলাকার জাফর আলমের পুত্র মোঃ রফিক (২৬), ঈদগাঁও এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম, দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাক চালক নঁওগা জেলার বাসিন্দা মোঃ কোরবান ও অজ্ঞাত ৪ জন পুরুষ এবং ১ জন মহিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করেন বলে হাসপাতাল সূত্রে প্রকাশ। এছাড়া আহত অন্যান্যদের পরিচয় জানা যায়নি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে প্রত্যক্ষ্যদর্শী ওই এলাকার মোঃ নেজাম উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় কক্সবাজারমুখী ইউনিক পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্রো- ব- ১৪-৩৩১৪) থ্রী হুইলার মাহিদ্রা গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট- ১৮-৫০৪১) এর সাথে ধাক্কা লাগে। এতে বাসের পিছনের অংশ ধুমড়ে মুচড়ে ও ট্রাকটি খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের পেছনের যাত্রীরা গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে চুনতি পুলিশ ফাঁড়ি ও স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

মোঃ হামিদ বলেন, ইউনিক পরিবহনের বাসটি বেপরোয়া গতিতে এসে মাহিন্দ্রাকে ওভারটেক করতে গিয়ে দূর্ঘটনাটি ঘটে। সরকার মহাসড়কে থ্রী হুইলার গাড়ি চলাচলের নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও লোহাগাড়ায় ঠিকই চলে। যার কারণে এ দূর্ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে ৭/৮ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে প্রেরণ করেছে বলে জানান।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটি অফিসার ডাঃ রোকাইয়া রুম্মান ও ডাঃ প্রত্যুষ পর ত্রিপুরা বলেন, হাসপাতালে ১৫ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে একজন নিহত হয়। নিহত ১৩ বছরের ছেলেটি ও ৪ জন পুরুষ এবং ১ জন মহিলার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে ৮ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় চমেকে প্রেরণ করেছেন ও ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আরো বলেন, এ ঘটনায় আরো হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানান।

খবর পেয়ে দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশের এসআই রুহুল আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসআই রুহুল আমিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুইটি উদ্ধার করে দোহাজারী হাইওয়ে থানা হেফাজতে নিয়ে যান। নিহত ছেলেটির লাশের সুরতহাল শেষে লাশ তাদের হেফাজতে রয়েছে । এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানা যায়।

 

পাঠকের মতামত: